Tasawwuf - তাসাউফ

কুদৃষ্টির ক্ষতি এবং পরিণাম (কুরআনের আলোকে কুদৃষ্টির চিকিৎসা) ━━━━━ • পর্ব-১২ • ━━━━━ ০৫। আল্লাহ তাআলার বাণী:

وَالَّذِيْنَ جَاهَدُوْا فِيْنَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا

'যারা আমার রাস্তায় পরিশ্রম করে আমি অতি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথসমূহের দিশা দান করি।' (সূরা আনকাবুত; আয়াত ৬৯) মুফাসসিরীনে কেরাম লিখেছেন, শরীয়ত অনুযায়ী আমল করার ক্ষেত্রে প্রবৃত্তিবিরোধী কাজ করাকে মুজাহাদা বলে। এটা বাস্তব যে, মুজাহাদার দ্বারা মুশাহাদা তথা আল্লাহর সরাসরি সাক্ষাৎ লাভ হয়। এ কারণেই মন যখনই পরনারী দেখার প্রতি ধাবিত হবে, নিজের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা তার বিরুদ্ধাচরণ করবে। এ কথা স্মরণ করবে যে, এই মুজাহাদার দরুন আমার প্রকৃত প্রেমাস্পদের দর্শন লাভ হবে। তা ছাড়া এই পরিশ্রম তো স্বল্প সময়ের। পক্ষান্তরে আল্লাহর দর্শন লাভের স্বাদ হবে চিরদিনের জন্য। মনে রাখবে, অনুশাসনের নূর দ্বারা অন্তর খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যায়। তাসবীহদানা এর সমকক্ষ হতে পারে না। হিম্মত ছেড়ে দেয়ার দ্বারা সমস্যা সমাধান হয় না; বরং হিম্মত করার দ্বারা সমাধান হয়। সুতরাং স্বীয় প্রবৃত্তির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে এবং তাকে শরীয়তের লাগাম পরিয়ে দিতে হবে। যাতে করে কেয়ামতের দিন সৌভাগ্যের মালা পরিধান করা যায়। ০৬। আল্লাহ তাআলার বাণী:

اِنَّ اللّٰهَ يَاْمُرُكُمْ اَنْ تُؤَدُّوا الْاَمٰنٰتِ اِلٰٓى اَهْلِهَا

'আল্লাহ তাআলা তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন তোমরা যেন আমানতসমূহ যাথাযথ হকদারদের নিকট পৌঁছে দাও।' (সূরা নিসা; আয়াত ৫৮) আধ্যাত্মিক পথিক নিজ মনে এ কথা গেঁথে নেবে যে, আমার চোখ আল্লাহ তাআলার দেয়া আমানত। আমাকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী এই আমানত ব্যবহার করতে হবে। যদি তার বিপরীত করি, তাহলে আমানতের খেয়ানত হবে। নিয়ম হলো কেউ যখন একবার কোনো জিনিসে খেয়ানত করে ফেলে তার কাছে দ্বিতীয়বার অন্য কোনো জিনিস আমানত রাখা হয় না। এমন না হয়ে যায় যে, দুনিয়াতে আমি আল্লাহর দেয়া দৃষ্টিশক্তি পরনারী দেখায় ব্যবহার করে খেয়ানত করে ফেললাম। যার ফলে কেয়ামতের দিন আমাকে সেই দৃষ্টিশক্তি পুনরায় আর দেয়াই হলো না। যদি সেদিন অন্ধ করে উঠানো হয় তাহলে আমার কী অবস্থা হবে? কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতেন দিন কিছু মানুষকে অন্ধ করে উঠানো হবে। তখন তারা প্রশ্ন করবে:

رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِىْۤ اَعْمٰى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا

'হে আমার রব, আমাকে অন্ধ করে কেন উঠানো হলো? অথচ আমি তো দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ছিলাম।' (সূরা ত্বোয়াহা; আয়াত ১২৫) এটিও চিন্তার বিষয় যে, আমরা এমন সময় দুনিয়াতে এসেছি যখন আল্লাহ তাআলার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দর্শন আমাদের ভাগ্যে জুটেনি। যদি কেয়ামতের দিনও অন্ধ করে উঠানো হয় তাহলে সেদিনও আমরা আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতে পারব না। দ্বিতীয় সুযোগেও এরূপ বঞ্চিত হওয়া থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। সুতরাং দৃষ্টির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই জরুরি বিষয়। যাতে কেয়ামতের দিন দৃষ্টির এই আমানত পুনরায় নসীব হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

إِنَّ اللهَ تَعَالَى جَمِيلٌ

'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সুন্দর।' (সহীহ মুসলিম, ৯১) এ বিষয়টি মাথায় রেখে চিন্তা করো, যদি আমি দুনিয়ার সুন্দরীদের কুনজরে দেখি, তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা স্বীয় রূপ ও সৌন্দর্য দেখা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে দেবেন। ০৭। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

اَلَمْ يَاْنِ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِكْرِ اللّٰهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَـقِّ

'যারা ঈমান এনেছে, তাদের জন্য কি এখনো সেই সময় আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হবে?' (সূরা হাদীদ; আয়াত ১৬) আধ্যাত্মিক পথের পথিকের প্রবৃত্তি যখনই কুদৃষ্টির গুনাহে লিপ্ত হতে চাইবে, তৎক্ষণাৎ মনে মনে এই আয়াতের শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করবে। মুমিনদের জন্য কি এখনো সময় হয়নি যে, তাদের অন্তর আল্লাহকে ভয় করবে। যতবারই চোখ তুলে দেখার ইচ্ছা জাগবে ততবারই নিজেকে সম্বোধন করে বলবে, মুমিনদের কি এখনো আল্লাহকে ভয় করার সময় হয়নি? প্রতি পলকে এই বিষয়টি ভাবতে থাকবে আর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে স্বীয় ভয় ঢেলে দেবেন এবং কুদৃষ্টি থেকে খাঁটি তাওবা নসীব হয়ে যাবে। ❂চলবে ইনশাআল্লাহ... পর্ব১১ঃ https://t.me/TasawwufOfficial/4524

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে অবাঙালি কতিপয় সন্ত্রাসীদের হাতে এক বাঙালির নির্মমভাবে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা এবং পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র জাতিগত সংঘাত চলছে। দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে অন্যান্য জেলা-উপজেলাতেও এই জাতিগত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

⛔ চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে নওফেলের গুন্ডাদের ফাঁদে পড়ে তথাকথিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়া হাসিনার পা চাটা অনুপম সেন'কে ভিসি হিসেবে রাখার পক্ষে আন্দুলুন করেছে। উল্টো যারা পদত্যাগের দাবি করেছে তাদেরকেই বহিষ্কারের প্রক্রিয়া করছে!!

মানুষ হইলাম কই?!

ভাত খাওয়ানোর সময় তোফাজ্জলকে জিজ্ঞাসা করা হয়, খাবার কেমন হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, "আল্লাহর রহমতে ভালো"

"ইবলিশ যদি কখনো আপনাকে এই ওয়াসওয়াসা দেয়, আপনি ওমুক মুসলিমের চেয়ে ভালো, তাহলে খেয়াল করে দেখুন সেই মানুষটা বয়সে আপনার বড় কিনা। যদি বড় হয় তাহলে নিজেকে বলুন: সে তো আমাকে ঈমান আর নেক আমলের ছাড়িয়ে গেছে, কাজেই সে আমার চেয়ে ভালো মানুষ। আর যদি সে আপনার চেয়ে বয়সে ছোট হয়, তাহলে নিজেকে বলুন: আমি তাকে গুনাহের কাজে ছাড়িয়ে গেছি এবং নিজের ওপর শাস্তি ডেকে আনছি, কাজেই সে আমার চেয়ে ভালো মানুষ।" — বকর আল-মুযানী রহিমাহুল্লাহ সূত্র: হিলয়াতুল আউলিয়া, ২/২২৫©️

⛔ ব্লার করলাম না এটাও! আজকের দৃশ্য!! গাজায় আমাদের শিশুরা, ভাইয়েরা-বোনেরা অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে। বরাবরের মতো চুপ বিশ্ব।

ঢাবিতে ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডে ছাএলীগের হল শাখার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক এর জড়িত থাকার অভিযোগ। আমরা ইতোপূর্বে ধারণা করেছিলাম - এরকম হত্যাকাণ্ড ছাত্রলীগের পক্ষেই সম্ভব এবং জানিয়েছিলাম ছাত্রলীগের সদস্যরা সাধারণ শিক্ষার্থী ছদ্মবেশে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে, যারা গেস্টরুমের ট্রেনিং ভুলতে পারে নাই এখনো।

ঢাবি ফজলুল হক মুসলিম হলে যাকে চোর সন্দেহে গণপিটুনতে হত্যা করা হয়, তাকে হত্যার আগে ছাত্ররা হলের ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ায়। হলের খাবের খেয়ে সে মন্তব্য করে, " আপনাদের হলের খাবার অনেক ভালো।" এইটাই তার মুখে উচ্চারিত শেষ বাক্য ছিল। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, সেই লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।