𝗨𝗡𝗙𝗔𝗭𝗘𝗗

তেল আবিব ইসরাইলের প্রাণকেন্দ্র। শুধু তেল আবিবের জিডিপি ২০০ বিলিয়ন ডলার যা ইসরাইলের মোটের ৪০%। এখন এখানে যদি রেগুলার বেসিসে মিসাইল ল্যান্ড করতে থাকে তাহলে সব ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডগুলো ব্যাবসা গুটিয়ে নিতে চাইবে। এজন্য ইসরাইলের হাতে আর সময় ছিলো না। লেবাননে অ্যাটাক করতেই হলো। অতিরিক্ত টপিকঃ উত্তর কোরিয়া লেবানন যুদ্ধের সাথে আবারো উঠে আসছে উত্তর কোরিয়ার নাম। এর আগে জানা গিয়েছিলো, হামাসকে অস্ত্র দিয়েছে তারা। ইরানের সাথে ইদানিং লক্ষণীয় অস্ত্র-প্রযুক্তি বিনিময় চলছে। সর্বশেষ, একটা সুত্র থেকে এও খবর পেলাম, প্যালেস্টাইন-২ মিসাইলে কিছু উত্তর কোরিয়ান প্রযুক্তিও রয়েছে। তবে বড় খবরটি হলো, গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু অস্ত্রের তৈরির ব্যাপারটি ছবি পাবলিশ করে কনফার্ম করেছিলো। এতদিন কেবল অভিযোগ থাকলেও গত ৭০ বছরে এটাই প্রথম কনফার্মেশন ছিলো। ইভেন গত সপ্তাহেও নতুন ছবি এসেছে। ইরান তার পরমাণু অস্ত্রের প্রজেক্টের জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর ঐতিহাসিকভাবে নির্ভরশীল। ইরান যদি সত্যিই বানাতে পারে, তবে হুতি আর হেজবুল্লাহ ভাগ পাবে, প্রায় নিশ্চিত। কারণ রাষ্ট্র হিসেবে স্যাংশন আর যুদ্ধ এড়াতে ইরান এটাও বেছে নিতে পারে। সেরকম যদি হয়, এই নোংরা ইহুদীরা দুনিয়াতেই জাহান্নাম দেখে ফেলবে।

লেবাননে ইসরাইলের এই অভুতপুর্ব হামলা কেন? গত দুই-তিন ধরে ইসরাইলের এক অবিশ্বাস্য সাইবার হামলায় লেবাননে নানান ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়েছে। ১৭ তারিখে প্রায় ৫,০০০ পেজার ডিভাইস একযোগে বিস্ফোরিত হয়। তার পরদিন আরো নানান ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরপর বিস্ফোরিত হতে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন নিহত এবং চার হাজারের মত আহত। হতাহতদের মধ্যে একাধিক শিশুও রয়েছে। এরকম ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি। দৈনন্দিন ব্যবহৃত ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, ওয়াকি-টকি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার, স্মার্টফোন, গাড়ীর রেডিওসহ আরো নানান ডিভাইস। ফলে হাতের কাছে থাকা এতদিনের পরিচিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যে মেরেও ফেলতে পারে - এই আতঙ্ক দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়েছে। হিজবুল্লাহকে তাদের পুরোনো সাপ্লাই লাইন আবারো ঢেলে সাজাতে হচ্ছে। অলরেডি বহু সন্দেহজনক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তারা নিজেরাই ধ্বংস করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন? ইসরাইল কেন ব্যাপক সিভিলিয়ান ক্যাজুয়ালটির আশঙ্কা সত্বেও এই সময়টাকে বেছে নিল? এমনটা অবশ্য নয় যে, এই ইহুদীর পাল কোন নির্দোষ মানুষের ব্যপারে কেয়ার করে। তাদের চোখে ইহুদী নয় এমন যে কেউই অপরাধী, তা নিরপরাধ শিশু হলেও। গত বুধবার নেতানিয়াহু বললো, তারা এই যুদ্ধকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়। এই যুদ্ধে তাদের ঘোষিত লক্ষ্যের একটা এখনো অর্জিত হয়নি। হামাস নির্মুল ও জিম্মিদের উদ্ধার - এর কোনোটাই গত এক বছরে তারা করতে পারেনি। তার উপরে উত্তরে প্রায় ৬০,০০০ দখলদার বাড়ীছাড়া হয়ে পালিয়েছে। আরো রোজকার হিজবুল্লাহ হামলায় অ্যালার্ম বেজে উঠছে। ইসরাইল এখন যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ উত্তরে নিয়ে আসতে চায়। এজন্যই এই পেজার অ্যাটাক। এখানে প্রশ্ন থাকে, এমনটা তো তারা গত কয়েক মাস ধরেই বলছে। হঠাৎ কী এমন হলো? এর উত্তর রয়েছে গত সপ্তাহের একটি ঐতিহাসিক ঘটনায়। চলুন দেখে আসি। এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত গত রবিবার, সকাল সাড়ে ছয়টা। তেল আবিব জুড়ে তখনও ঘুমিয়ে রয়েছে ইহুদীর পাল। হঠাৎ এয়ার রেইড সাইরেন বেজে উঠলো। পড়িমরি করে সব ছুটলো বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আশ্রয়কেন্দ্রে। সাতসকালে এই প্যানিকের কারণ হলো, ইয়েমেন থেকে হুথিদের ছোড়া প্রথম হাইপারসনিক মিসাইল 'প্যালেস্টাইন - ২' আছড়ে পড়েছে ইসরাইলের রাজধানীতে। হামাস অভিনন্দন জানিয়েছে। এখন এই মিসাইল এত বিগ ডিল কেন? > পুরো দুনিয়াকে যেটা অবাক করেছে সেটা হলো এই মিসাইলের স্পীড। এটি ইয়েমেন থেকে তেল-আবিব পর্যন্ত অতিক্রম করেছে মাত্র ১১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে! মানে ঘন্টায় প্রায় ১০,০০০ কিলো স্পীড। এই স্পীড ভয়ঙ্কর। কারণ এত বেশী স্পীডের হাইপারসনিক মিসাইল ঠেকানোর মতো ডিফেন্স এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। দ্বিতীয়তঃ, এর পরের মিসাইলটা যদি কোনো মিলিটারী ফ্যাসিলিটি, বিমানের হ্যঙ্গার কিংবা আর্সেনাল স্টোরেজে টার্গেট করে, ইসরাইল এত অল্প সময়ে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারবে না। > এর পরের ব্যপারটা হলো এর স্টেলথ ক্যাপাবিলিটি। প্যালেস্টাইন-২ মিসাইলটি ইসরাইলের ডিফেন্স শিল্ড খ্যাত আয়রন ডোম, ডেভিড স্লিঙ, প্যাট্রিয়ট, বারাক সবগুলোকে ফাঁকি দিয়ে তেল-আবিবে ঢুকে পড়েছে। যেটা অবিশ্বাস্য। এক ইসরাইলী সোর্স বলছে, তারা অ্যারো-৩ থেকে নাকি ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ছুঁড়েছে। কিন্তু সেটাও ডিটেক্ট করতে পারেনি। ইসরাইলীদের নিশ্চিন্ত থাকার দিন একরকম শেষ। হামাস এই অ্যাটাকের অভিনন্দনবার্তায় বলেছিলো, ইসরাইল কোনোভাবেই নিরাপত্তা এনজয় করতে পারবে না। > পশ্চিমারা ব্যপারটা অনেক সিরিয়াসলি নিয়েছে। কারণ লোহিত সাগরে মোতায়েন রয়েছে দুটো আমেরিকান ডেস্ট্রয়ার এবং একটি ফরাসী ফ্রিগেট। এদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও এই মিসাইল ডিটেক্ট করতে পারেনি। > ইয়েমেনের কোল ঘেষে যাওয়ার সময় সৌদিতে মোতায়েন থাকা প্যাট্রিয়টও ডিটেক্ট করতে পারেনি। যা আমেরিকার জন্য চুড়ান্ত অপমানজনক। > প্রশ্ন হলো, এই মিসাইল হুথিরা কোথায় পেলো? অনেকগুলো সোর্স বলছে এটা নাকি ইরানি ফাতাহ মিসাইলের ইয়েমেনি ভার্সন। যদিও ইরান অস্বীকার করেছে। > তবে এই অপশনটা মারাত্মক। আঙ্গুল উঠেছে রাশিয়ার দিকে। যদি রাশিয়া এরকম মিসাইল সরবরাহ করতে পারে, সেটা আমেরিকান অক্ষশক্তির জন্য ব্যাপক চিন্তার। এবার মুল প্রসঙ্গ। দেখুন, ইয়েমেন ইসরাইল থেকে দুই হাজার কিলো দুরের দেশ, মাঝে সাগর ও সৌদী আরব। কিন্তু ইরান বা রাশিয়া যদি অত দূরে এরকম অস্ত্র সাপ্লাই করতে সক্ষম হয়, তাহলে উত্তরের বর্ডারে থাকা হিজবুল্লাহ এগুলো পেতে কতক্ষণ? ইরান নিশ্চিতভাবেই তা করবে। আর এটাই পাগলা বানিয়ে দিয়েছে ইসরাইলকে। হুথিরা এর আগে জুলাইতেও কিন্তু তেল আবিবে ড্রোন পাঠিয়ে একজনকে হত্যা এবং গোটা চল্লিশেক আহত করতে সক্ষম হয়েছিলো। হামাস ৭ই অক্টোবর একসাথে ৫০০০ রকেট ছুড়েছিলো। থিওরি ছিলো, আয়রন ডোম যদি ৯৯% ও অ্যাকুরেট হয়, বাকি ১% এর ৫০টা রকেট ইসরাইলে পড়বে। বাস্তবে প্রায় ২০-২৫% রকেট ইসরাইলে আঘাত করেছিলো।

পাহাড়ের স্বল্পমেয়াদী সমাধানঃ পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাতিল করে সেনা উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের আর্মি ইন্ডিয়ার মত করাপ্ট না। সৎ অফিসার দিলে পাহাড়ী বা বাঙ্গালী - কারো উপরেই জুলুম হবে না। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানঃ সেভেন সিস্টার্সের অন্ততঃ তিনটা হলেও রাজ্য স্বাধীন করতে হবে। আদিবাসীদের সেখানে সেটেলের ব্যবস্থা করতে হবে। তারাও বেটার লাইফ পাবে, আমরা পাহাড়ের দখল ফেরত পাবো, পাহাড় শান্ত হবে।

খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি নিয়ে থ্রেডঃ https://www.facebook.com/titelmdmotaleb.motaleb/posts/pfbid0r66kb1jYRKSC2d4oUzM6rZjGcwNAViyK82uRWRdbwfkivX63JKKBWDLHTdjc7fZYl

ইসরাইলের সাম্প্রতিক পেজার অ্যাটাক ও হুথিদের হাইপারসনিক মিসাইল নিয়ে একটা আর্টিকেল আসছে একটু পর। লেখাটা ভালোভাবে বুঝতে শায়খ আতিকুল্লাহ'র এই লেখাটা পড়ে নিনঃ ইসরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোটাদাগে পাঁচ স্তরবিশিষ্ট। ১: প্রথম স্তরে আছে বিখ্যাত আয়রন ডোম। এটা লো লেভেল মিসাইল এটাক প্রতিরোধ করে। হিযবুল্লাহ, হামাসের মিসাইলগুলো সাধারণত আয়রন ডোম দিয়েই প্রতিহত করা হয়। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে আয়রন ডোমের একুরেসি (কার্যক্ষমতা) ৯৯%। আমরা ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলায় দেখেছি, হামাস ২০০০ মতো রকেট একযোগে ছুঁড়েছিল। তখন দেখা গেছে আয়রন ডোম ৯৯% নয় ৯৫% কাজ করেছে। বাকি ৫% রকেট প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আয়রন ডোম সিস্টেম অত্যন্ত কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা, তবে শতভাগ নিখুঁত নয়। তাছাড়া একেকবার আয়রন ডোম ব্যবহারে ইসরায়েলের ৪০ থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। কোনো কোনোটা ১ থেকে দেড় লাখ ডলারের হয়। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অন্যদিকে হামাসের একেকটি রকেট বানাতে খরচা হয় চারশ থেকে পাঁচশ ডলার। সামরিক খাতে ব্যয় করার জন্য আমেরিকা প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্য করে। ২. দ্বিতীয় স্তরে আছে ডেভিডস স্লিং (David's Sling)। স্লিং মানে গুলতি। নামটা বাইবেলাশ্রিত। দাউদ আলাইহিস সালাম গুলতি দিয়ে জালুত (গ্যালিয়থ)-কে হত্যা করেছিলেন। ডেভিডস স্লিং মাঝারি পাল্লার আকাশ প্রতিপক্ষা ব্যবস্থা। এটা ১৮৬ মাইল পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে মিসাইল, রকেট বা ড্রোন ধ্বংস করতে পারে। ৩. দি এ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম। এটা লং রেঞ্জ (দূরপাল্লার) মিসাইলকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানি মিসাইলকে এই এ্যারো সিস্টেমের মাধ্যমেই ইন্টারসেপ্ট করা হয়েছে। ইসরায়েল এই প্রযুক্তিকে উন্নত করে এ্যারো-১, এ্যারো-২, এ্যারো-৩ স্তরে নিয়ে গেছে। ৪. প্যাট্টিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। এটা সবচেয়ে পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আগেরগুলোর মতো এটাও মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইসরায়েল প্যাট্টিয়টকে আরো উন্নত করেছে। ৯০ দশকে ইরাকি প্রেসিডেন্ট মরহুম সাদ্দাম হোসাইন ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে স্কাড মিসাইল ছুঁড়েছিলেন, তখন ইসরায়েল এই প্যাট্টিয়টের মাধ্যমেই প্রতিহত করেছিল। ৫. আয়রন বীম ডিফেন্স। এর মাধ্যমে লেজার বীমের সাহায্যে রকেট, মিসাইল ও ড্রোন প্রতিরোধ করা হয়। এই সিস্টেমকে গেম চেঞ্জার বলা হলেও এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও পুরোপুরি ডেভেলপড হয়নি। এখনো এটার উৎকর্ষসাধনে কাজ চলমান। ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরে অস্ত্র প্রদর্শনীতে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। এই প্রযুক্তি অনেকটা আয়রন ডোমের মতোই শর্ট রেঞ্জের। তবে আয়রন ডোমের মতো এত ব্যয়বহুল নয়। কিন্তু আয়রন বীম ছোঁড়ার খরচ বেশি না হলেও, এটার ইনস্টলেশন ও এটাকে কর্মক্ষম (একটিভ) রাখার খরচ অকল্পনীয় বেশি। আয়রন বীমের আরেকট দুর্বল দিক হচ্ছে, এটা বৃষ্টি-বাদলার দিনে অপারেট করা যায় না। এফ সিক্সটিনের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নির্মানকারী কোম্পানি লকহেড মার্টিন এই প্রযুক্তি (আয়রন ডোম)-এর উন্নয়নকল্পে ইসরায়েলের সাথে দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছে। এই ৫ স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছাড়াও ইসরায়েলের কাছে আছে, আমেরিকাপ্রদত্ত F-16, F-35সহ আরো বহু এয়ার টু এয়ার, এয়ার টু সারফেস যুদ্ধাস্ত্র মজুত আছে। এসব অস্ত্র একই সাথে ডিফেন্স ও অফেন্সে কাজ করে।

শুভঙ্কর সাহা-রা এটিএম বুথে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিলো

আমাদের নতুন চ্যানেলে জয়েন করুনঃ https://t.me/teambakhtiar

বাংলাদেশে হিন্দুদের সরকারী ছুটির বহর ও মায়া কান্না বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায়ই ন্যাকা কান্না কেঁদে থাকে, দাবি করে- তাদেরকে নাকি পূজাগুলোতে ছুটি দেওয়া হয় না। এই ছুটি চাওয়ার জন্য প্রায়শঃই তারা প্রেসক্লাবে যায়, মানববন্ধন করে। চোখের জল দিয়ে সাগর বানায়, আর বলে, ‘ইস ! বছরে আমাদের ছুটি মাত্র দু’দিন’। বাংলাদেশের মুসলমানরাও হিন্দুদের এমন মায়াকান্না বিশ্বাস করে নেয়। ভাবে, “আহারে,নিশ্চয়ই বাংলাদেশের হিন্দুরা খুব নির্যাতিত, নয়ত এভাবে কান্নকাটি করছে কেন ?” কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশর মুসলমানরা সরকারের ছুটির তালিকাটি কখন খুলেও দেখেনি। যদি দেখতো, তবে বুঝতে পারতো- ছুটির জন্য হিন্দুরা যে মায়াকান্না কাদছে তার পুরোটাই ভুয়া। বাংলাদেশের হিন্দুরা অনেক বেশি ছুটি-সুবিধা পায়, যা খোদ ভারতেও তারা পায় না। আসুন বাংলাদেশের হিন্দুদের সরকারি ছুটি নিয়ে কিছু তথ্য জেনে নেই--- ১) ২০১৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকাটি দেখুন (http://goo.gl/vsYM5I), সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে, হিন্দুদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ২ দিন রয়েছে পাবলিক হলিডে (সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের রয়েছে তিন দিন), অপরদিকে, হিন্দুদের ঐচ্ছিক ছুটি (চাইলেই তারা নিতে পারে) রয়েছে ৮দিন, সেখানে মুসলমানদের ঐচ্ছিক ছুটি মাত্র ৫ দিন। ২) বাংলাদেশের হিন্দুরা প্রায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে ৩ দিন সাধারণ ছুটি চায় (যদিও নবমীতে ঐচ্ছিক এবং দশমীতে সাধারণ, মোট ২ দিন ছুটি রয়েছে), অথচ হিন্দুদের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র ভারতেও কিন্তু শুধু দশমীর দিন, মানে ১ দিনই হচ্ছে সাধারণ ছুটি, এর বেশি নয়। ৩) সরস্বতীর পূজার সময় বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতের কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। ভারতের ২৯টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (হরিয়ানা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িশ্যা) এই ছুটি পাওয়া যায়, বাকি ২৫টি প্রদেশের হিন্দুরা সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে ছুটি পায় না। ৪) দোলযাত্রার সময় একই অবস্থা। বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ঐদিন ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতের হিন্দুরা কিন্তু তা পারে না। ভারতের ২৯টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (আসাম, উড়িশ্যা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ) এর হিন্দুরা সেই ছুটি পায়, বাকিরা পায় না। ৫) হরিচাদ ঠাকুরের আবির্ভাব উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কোন ছুটিই নেই। ৬) মহালয়া উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে ২৯ প্রদেশের মধ্যে মাত্র ৪টি প্রদেশ (কর্নাটক, উড়িশ্যা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ) এই ছুটি পায়। বাকি হিন্দুরা এ ছুটি পায় না। ৭) নবমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে। কিন্তু ভারতে তা পারে না। ভারতের মাত্র ৫টি প্রদেশের (আসাম, কর্নাটক, সিকিম, তামিল নাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা এ্ই ছুটি পায়, বাকিরা পায় না। ৮) লক্ষীপূজা উপলক্ষে পুরো বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতে মাত্র ১টি প্রদেশে (পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা ছুটি পায়, বাকি ২৮টি প্রদেশে পায় না। ৯) শ্যামাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দুরা চাইলেই ছুটি নিতে পারে, কিন্তু ভারতের মাত্র দুটি প্রদেশে (উড়িশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ) হিন্দুরা এ পূজা উপলক্ষে ছুটি পায়, বাকি ২৭টি প্রদেশে পায় না। উপরের তথ্যগুলো পড়ে এতক্ষণে আপনি নিশ্চিত হয়েছেন, বাংলাদেশে ছুটি নিয়ে হিন্দুরা যে মায়াকান্না কাদে তা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক ও ভাওতাবাজি। আসলে এই মায়াকান্নার উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আরো অধিক সুবিধা আদায় করে নেওয়া এবং এক একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে মুসলমানদের ঘাড়ে বসে তাদের টুটি চেপে ধরা। জানি না, বাংলাদেশের মুসলমানরা এ সত্যটা আর কবে বুঝতে পারবে। প্রয়োজনীয় লিঙ্ক: ক) http://lekhaporabd.com/archives/4433 খ) http://www.holiday-times.com/holiday-list-india/ গ) http://www.officeholidays.com/countries/india/ লিখেছেনঃ নয়ন চ্যাটার্জি

পশ্চিম তীরের জেনিনে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইলী আর্মি

সমন্বয়ক নুসরাতকে রাখা হয়েছেলো ডাইভার্সিটি কোটায়। এবং মিছিলে নারীদের উপস্থিতি দেখিয়ে সেক্যুলাররা ক্যাশ-ইন করার চেষ্টা করে চলেছে, আগামীতেও করবে। মাঠে যারা ছিলাম সবাই অবশ্য এই মিছিলে 'মেয়ে' থাকার বাস্তবতা জানি। শহীদদের তালিকায় কেন নারী নেই বললেই চলে, এটা কেন, তার উত্তর রয়েছে নারীদের অংশগ্রহণের বাস্তবতায়। তবে ভাগ্য ভালো যে, খুব বেশী নেই। অলরেডি একজনকে নিয়ে ফেমিনিস্টপাড়ায় পুজো চলছে। এই ফেমিনিস্টগুলো লীগ আমলে মায়ের কোলে ছিলো। ৫ই আগস্টের পর ইসলামী কালচারাল শক্তির সামনে আসায় তারা কিন্তু বেশ চাপে রয়েছে। সুতরাং, নুসরাত কিংবা উপদেষ্টা শারমিন ওইভাবে এখনি সুবিধা করতে পারবে না মেবি।