সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿⤵ https://t.me/TanveerIslam10june2020
একজন মুসলমানের জন্য বিবাহ করা হচ্ছে অর্ধেক দ্বীনের সমান।সমাজে বিবাহ যত কঠিন হবে জেনা-ব্যভিচার তত বেড়ে যাবে । তাই আসুন আমরা বিবাহের মাসায়েল জানি ও বিবাহকে সহজ করি এবংঅন্যকে বিবাহ করতে উৎসাহিত করি। বিবাহ একটি ইবাদাত যদি তা কোরআন সুন্নাত অনুযায়ী করা হয় ।
Show more3 695
Subscribers
+324 hours
+487 days
+15930 days
- Subscribers
- Post coverage
- ER - engagement ratio
Data loading in progress...
Subscriber growth rate
Data loading in progress...
*_কথা বলার আদব:-_*
১.কম কথা বলা উত্তম।সত্য বলা ওয়াজিব, মিথ্যা বলা
হারাম।
২.সাধারণভাবে আস্তে কথা বলাই উত্তম। তবে বড়
মজলিসের প্রয়োজন অনুপাতে জোরে কথা বলা যাবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোরে কথা বলা ভালো নয়।
৩.নিজের চেয়ে অধিক বয়স এবং অধিক জ্ঞানসম্পন্ন
লোকদের কথা বলতে অগ্রাধিকার দেওয়া আদব।
৪.তাহকীক বা তদন্ত ব্যতীত কথা বলা অন্যায়।যে কোন কথা
শুনেই তাহকীক-তদন্ত ব্যতিত তা বর্ণনা করা মিথ্যার
শামিল।
৫.যে কথায় ঝগড়া এবং তর্ক সৃষ্টি হয়,তা বলা অন্যায়।
৬.নিজের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন খবর বা
প্রতিশ্রুতিমূলক কথা বললে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।
৭.বড়দের সঙ্গে আদব রক্ষা করে কথা বলতে হবে।
৮.বড়দেরকে সম্মানজনক সম্বোধন করে কথা বলা আদব।
৯.কাউকে কাফের, ফাসেক,মালাউন, আল্লাহর দুশমন,
বেঈমান ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা নিষেধ।
১০.নিজের ভাঙ্গা ভাঙ্গা অভিজ্ঞতার কথা বলবে না,এতে
শ্রোতাদের মনে বিরক্তির উদ্রেক হয়।
১১.আত্মপ্রশংসা অর্থাৎ নিজের প্রশংসা নিজে করা নিষেধ।
১২.অতিরিক্ত ঠাট্টা মজা না করা ভালো। এতে প্রভাব,
লজ্জা-শরম ও পরহেজগারী কমে যায়।
১৩.যে শব্দ বা ভাষা খারাপ উদ্দেশ্যে এবং খারাপ অর্থে
ব্যবহার করা হয় সেটা পরিহার করা কর্তব্য।
১৪.চিন্তা করে কথা বলতে হবে।বিনা চিন্তায় কথা বললে
অনেক সময় মিথ্যা হয়ে যায়।
১৫.কথা সংক্ষেপ বা দীর্ঘ হবে না অর্থাৎ যতটুকু কথা বললে
প্রয়োজন অনুযায়ী ততটুকু বলতে হবে।
১৬.চাটুকারিতামূলক কথা অর্থাৎ কারও তোষামোদ করে
কথা বলা যাবে না।
১৭.কোন প্রয়োজনের কথা পূর্বে বলে থাকলে আবার সেটা
পুনরাবৃত্তি করার ক্ষেত্রে পূর্ণ কথা বলতে হবে। পূর্ণ কথা
না বললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
১৮.কারও বক্তব্য শেষ হওয়ার পূর্বেই তার কথা কেটে
মাঝখানে কথা না বলা আদব।
১৯.নিজের কথায় ভুল হলে সেটা স্বীকার করে নেয়া এবং
অপব্যাখ্যায় না যাওয়া আদব।
👍 8
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দু'আ কবূল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দু'আ করলাম। কিন্তু আমার দু'আ তো কবূল হলো না। [সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩৪০]
👍 12
*_জান্নাতে প্রবেশের সহজ আমল:---_*
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযি:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: দুটি আমল যে কোন মুসলমান ব্যক্তি গুরুত্ব সহকারে করবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেন জেনে রেখো, আমল দুটি সহজ হলেও আমলকারী খুবই কম।
১- প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০বার (سبحان الله)সুবহানাল্লাহ,
১০বার (ٱلْحَمْدُ لِلَّٰه)আলহামদুলিল্লাহ
১০বার (الله أَكْبَر)আল্লাহু আকবার পড়বে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন উহা জবানে ১৫০ (৫×৩০=১৫০) বার হলেও আমল নামায় ১৫০০ নেকি লিখে দেওয়া হয়।
২- শোয়ার সময় ৩৩বার (سبحان الله)সুবাহানাল্লাহ
৩৩বার (ٱلْحَمْدُ لِلَّٰه )আলহামদুলিল্লাহ
৩৪বার (الله أَكْبَر)আল্লাহু আকবার (মোট ১০০ বার) পাঠ করবে ইহা জবানে ১০০বার হলেও আমল নামায় এক হাজার নেকি লেখা হয়।
অতঃপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমাদের মধ্যে কেহ কি দিনে রাতে ২৫০০ গুনাহ কর...?
(তিরমিযি, আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ: ১/২১১)
(নাদিরুজ্জামান)
👍 7💯 2
আশ্রয়কেন্দ্রগুলির জন্য কিছু পরামর্শ
(হযরাত উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণ বিশেষ লক্ষ রাখুন)
১. যথাসম্ভব নারী পুরুষ পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা করুন!
২. মেয়েমহলে যেন পরপুুরুষের আডডা নাহয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
৩. যথাসসম্ভব মাহরাম বা ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে ভেতরের জরুরত পুরা করুন।
৪. মেয়েদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন হলে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলুন।
৫. পুরুষরা নিজেদের চাইতে মহিলা শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন।
৬. পুরুষেরা প্রয়োজনে নিকটবর্তী মসজিদে রাতযাপন করুন। তবে ইতিকাফের নিয়ত করুন এবং মসজিদের আদব রক্ষা করুন।
৭. আশ্রয় কেন্দ গানবাজনা মোবাইলের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৮. অবশ্যই যথাসময়ে নামায আদায় করুন। নামায নষ্ট করা আল্লাহর ক্রোধের কারণ!
৯. পুরুষেরা সম্ভব হলে জামাআতে নামায পড়বেন। ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযানের ব্যবস্থা করুন, জামাআত হোক বা না-হোক!
জামাআত না হলে একাকী পড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন।
১০. চলতে ফিরতে যিকির আযকার, ইস্তিগফার, দরূদ শরীফ, কালিমা তাইয়িবা, তাসবীহে ইউনুস পড়ুন।
১১. পরস্পর ঝগড়াঝাটি, গীবত, পরনিন্দা পরিহার করুন।
১২. উঠতি ছেলে-মেয়েদের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখুন!
১৩. আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো আলিম, দাঈ বা মুবাল্লিগ থাকলে জরুর তালীম বা দীনী নসীহার আয়োজন করুন। দিনে এক-দুবার অন্তত হতে পারে।
১৪. আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে কোনো দাঈ থাকলে তারা তালীম ও নসীহার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ফাযায়েলে আমাল, হেকায়েতে সাহাবা, ফাযায়েলে সাদকাত হতে নির্বাচিত অংশ তালীম হতে পারে।
নিকটবর্তী কোনো আলিম বা দাঈ থেকেও ফায়েদা নেওয়া যেতে পারে।
১৫. পরস্পর সহযোগিতা ও অগ্রাধিকারমূলক আচরণ খুবই জরুরি। কুরআস হাদীসের আলোকে তা মুযাকারা করুন।
১৬. আল্লাহমুখি হওয়াই এসময় বান্দাদের প্রথম কাজ।
এই সময় মানুষের দিল অনেক নরম, সামান্য দীনী কথাও অনেক কাজ দিতে পারে। একত্রে এত মানুষকে কখনো এভাবে পাওয়া যাবে না। আজকে আপনার লাগানো বীজ আগামীতে অনেক বড় মহীরূহ হতে পারে ইনশাআল্লাহ!
২৬আগস্ট ২০২৪
👍 10
আশ্রয় কেন্দ্রগুলির জন্য কিছু পরামর্শ
(হযরাত উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণ বিশেষ লক্ষ রাখুন)
১. যথাসম্ভব নারী পুরুষ পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা করুন!
২. মেয়েমহলে যেন পরপুুরুষের আডডা নাহয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
৩. যথাসসম্ভব মাহরাম বা ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে ভেতরের জরুরত পুরা করুন।
৪. মেয়েদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন হলে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলুন।
৫. পুরুষরা নিজেদের চাইতে মহিলা শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন।
৬. পুরুষেরা প্রয়োজনে নিকটবর্তী মসজিদে রাতযাপন করুন। তবে ইতিকাফের নিয়ত করুন এবং মসজিদের আদব রক্ষা করুন।
৭. আশ্রয় কেন্দ গানবাজনা মোবাইলের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৮. অবশ্যই যথাসময়ে নামায আদায় করুন। নামায নষ্ট করা আল্লাহর ক্রোধের কারণ!
৯. পুরুষেরা সম্ভব হলে জামাআতে নামায পড়বেন। ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযানের ব্যবস্থা করুন, জামাআত হোক বা না-হোক!
জামাআত না হলে একাকী পড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন।
১০. চলতে ফিরতে যিকির আযকার, ইস্তিগফার, দরূদ শরীফ, কালিমা তাইয়িবা, তাসবীহে ইউনুস পড়ুন।
১১. পরস্পর ঝগড়াঝাটি, গীবত, পরনিন্দা পরিহার করুন।
১২. উঠতি ছেলে-মেয়েদের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখুন!
১৩. আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো আলিম, দাঈ বা মুবাল্লিগ থাকলে জরুর তালীম বা দীনী নসীহার আয়োজন করুন। দিনে এক-দুবার অন্তত হতে পারে।
১৪. আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে কোনো দাঈ থাকলে তারা তালীম ও নসীহার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ফাযায়েলে আমাল, হেকায়েতে সাহাবা, ফাযায়েলে সাদকাত হতে নির্বাচিত অংশ তালীম হতে পারে।
নিকটবর্তী কোনো আলিম বা দাঈ থেকেও ফায়েদা নেওয়া যেতে পারে।
১৫. পরস্পর সহযোগিতা ও অগ্রাধিকারমূলক আচরণ খুবই জরুরি। কুরআস হাদীসের আলোকে তা মুযাকারা করুন।
১৬. আল্লাহমুখি হওয়াই এসময় বান্দাদের প্রথম কাজ।
এই সময় মানুষের দিল অনেক নরম, সামান্য দীনী কথাও অনেক কাজ দিতে পারে। একত্রে এত মানুষকে কখনো এভাবে পাওয়া যাবে না। আজকে আপনার লাগানো বীজ আগামীতে অনেক বড় মহীরূহ হতে পারে ইনশাআল্লাহ!
২৬আগস্ট ২০২৪
আশ্রয়কেন্দ্রগুলির জন্য কিছু পরামর্শ
(হযরাতে উলামায়ে কেরাম ও দাঈগণ সবিশেষ লক্ষ রাখুন)
১. যথাসম্ভব নারী পুরুষ পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা করুন!
২. মেয়েমহলে যেন পরপুুরুষের আডডা নাহয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
৩. যথাসসম্ভব মাহরাম বা ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে ভেতরের জরুরত পুরা করুন।
৪. মেয়েদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন হলে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলুন।
৫. পুরুষরা নিজেদের চাইতে মহিলা শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন।
৬. পুরুষেরা প্রয়োজনে নিকটবর্তী মসজিদে রাতযাপন করুন। তবে ইতিকাফের নিয়ত করুন এবং মসজিদের আদব রক্ষা করুন।
৭. আশ্রয় কেন্দ গানবাজনা মোবাইলের অপব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৮. অবশ্যই যথাসময়ে নামায আদায় করুন। নামায নষ্ট করা আল্লাহর ক্রোধের কারণ!
৯. পুরুষেরা সম্ভব হলে জামাআতে নামায পড়বেন। ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযানের ব্যবস্থা করুন, জামাআত হোক বা না-হোক!
জামাআত না হলে একাকী পড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন।
১০. চলতে ফিরতে যিকির আযকার, ইস্তিগফার, দরূদ শরীফ, কালিমা তাইয়িবা, তাসবীহে ইউনুস পড়ুন।
১১. পরস্পর ঝগড়াঝাটি, গীবত, পরনিন্দা পরিহার করুন।
১২. উঠতি ছেলে-মেয়েদের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখুন!
১৩. আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো আলিম, দাঈ বা মুবাল্লিগ থাকলে জরুর তালীম বা দীনী নসীহার আয়োজন করুন। দিনে এক-দুবার অন্তত হতে পারে।
১৪. আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে কোনো দাঈ থাকলে তারা তালীম ও নসীহার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ফাযায়েলে আমাল, হেকায়েতে সাহাবা, ফাযায়েলে সাদকাত হতে নির্বাচিত অংশ তালীম হতে পারে।
নিকটবর্তী কোনো আলিম বা দাঈ থেকেও ফায়েদা নেওয়া যেতে পারে।
১৫. পরস্পর সহযোগিতা ও অগ্রাধিকারমূলক আচরণ খুবই জরুরি। কুরআস হাদীসের আলোকে তা মুযাকারা করুন।
১৬. আল্লাহমুখি হওয়াই এসময় বান্দাদের প্রথম কাজ।
এই সময় মানুষের দিল অনেক নরম, সামান্য দীনী কথাও অনেক কাজ দিতে পারে। একত্রে এত মানুষকে কখনো এভাবে পাওয়া যাবে না। আজকে আপনার লাগানো বীজ আগামীতে অনেক বড় মহীরূহ হতে পারে ইনশাআল্লাহ!
২৬আগস্ট ২০২৪
*_যে আমলে ইবাদতে আগ্রহ বাড়ে..._*
মুমিনের ভয়, চিন্তা, কাজ, আচরণ—সবকিছু হয় পরকালকে ঘিরে। আল্লাহ মুমিনের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, ‘এবং যারা তাদের রবের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে- এ বিশ্বাসে তাদের যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে।’ (সুরা মুমিনুন: ৬০)
মুমিন চায় আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে, তাঁরই ভালোবাসার ময়দানে এগিয়ে যেতে। আর এ পথে অত্যাবশ্যক রাস্তা হলো ইবাদত। তবে ইবাদতেরও শর্ত আছে, তা হলো- রাসুলুল্লাহ সা.-এর সুন্নত অনুযায়ী হতে হবে।
সেরকম বিশুদ্ধ নিয়মে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতের প্রতি যাতে আগ্রহ বাড়ে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হয়। ইবাদতে আগ্রহ বাড়ানোর একটি বিশেষ দোয়ার কথা এসেছে হাদিসে।
দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ أعِنَّا عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার জিকির করতে, আপনার শুকরিয়া আদায় করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন।
মুআজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, একবার আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সা. তার হাত ধরে বলেন, ‘হে মুআজ, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি।
তিনি বলেন, হে মুআজ, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়া কখনো পরিহার করবে না।’ (আবু দাউদ: ১৫২২)
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত এই আমল করার তাওফিক দান করুন। ইবাদতের আগ্রহ বাড়িয়ে দিন। ইবাদত-বন্দেগিতে সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
(সূত্র- আওয়ার ইসলাম অনলাইন নিউজ)
_ _
আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...)
👍 8💯 1
*" কিভাবে কথা বলতে হয়"*
*চলুন মহান আল্লাহ তা'য়ালার কাছ থেকে শিখি।*
📖 " কথা বলার পূর্বে সালাম দেওয়া।"
সুরাঃ নূর, আয়াত:৬১
📖 " সতর্কতার সাথে কথা বলো
(কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হচ্ছে)। "
সূরাঃ ক্বফ,আয়াত:১৮
📖 "সুন্দরভাবে ও উওমরূপে কথা বলো।"
সূরাঃ বাক্বারাহ,আয়াত:৮৩
📖 "অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করো।"
সূরাঃ আল-মু'মিনুন,আয়াত:০৩
📖 "কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলো।"
সূরাঃ লুকমান,আয়াত:১৯;হুজুরাত:২-৩
📖 " বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলো।"
সূরাঃ নামল,আয়াত:১২৫
📖 " সঠিক কথা বলো ও পাপ মোচনের দোয়ার
উন্মুক্ত করো।"
সূরাঃ আহযাব,আয়াত:৭১-৭২
📖 " গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা বলো না।"
সূরাঃ লুকমান,আয়াত:১৯
📖 " উওম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত
করো।"
সূরাঃ হা-মীম,সাজদাহ,আয়াত:৩৪
📖 " উওম কথায় দাওয়াত দেও।"
সূরাঃ হা-মীম,সাজদাহ,আয়াত:৩৪
📖 " ঈমানদারদের কথা ও কাজ এক হওয়া। "
সূরাঃ ছফ,আয়াত:০২
📖 " পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমার নীতি
অবলম্বন করা।"
সূরাঃ আ'রাফ, আয়াত:১৯৯
📖 " মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষনীয় ও
কোমল ভাষায় কথা বলবে না।"
সূরাঃ আহযাব,আয়াত:৩২
📖 " মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা।"
সূরাঃ ফুরকান,আয়াত:৬৩
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
👍 21💯 5🕊 1
•• *_ফেরেশতাদের দুআয় শামিল হবার উপায়_* ••
ফেরেশতাগণ আল্লাহর খালেস বান্দা, পবিত্র সৃষ্টি। তারা আল্লাহর নির্দেশ মানায় কোনো কার্পণ্য করে না। প্রতিটি নিমেষ আল্লাহর আনুগত্যে কাটায়। এই দিকে কুরআন হাদীসের পাতায় আমরা দেখতে পাই, ফেরেশতাগণ বিশেষ শ্রেণির মানুষদের জন্য দুআ করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে তাদের দুআয় আমরাও শামিল হতে পারি?
.
*_আসুন,এরকম ৮টি সময়ের কথা জেনে নিই, যখন আমরা ফেরেশতাদের দুআয় শামিল হতে পারব:_*
.
(১) দান সদকার সময়
দান সদকার সময় ফেরেশতাগণ ব্যক্তির জন্য দুআ করেন। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘প্রত্যহ সকালে বান্দা যখন উঠে, দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। একজন দুআ করে, “ও আল্লাহ, যে দান করে আপনি তাকে দান করুন”, দ্বিতীয় জন বলে, ‘যে (দান হতে হাত) গুঁটিয়ে রাখে, তাকে ধ্বংস করুন।”‘ [সহীহ মুসলিম (২৩৮৩)]
.
(২) মসজিদে সালাতের পর কিছুক্ষণ বসা
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘…সালাত আদায়ের পর ব্যক্তি যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, ফেরেশতাগণ তার জন্য এ বলে দুআ করতে থাকেন, “ও আল্লাহ, আপনি তার ওপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।”’ [সহীহ বুখারী (৬৪৭)]
.
(৩) মানুষকে উত্তম বিষয় শিক্ষা দেয়া
আবু উমামাহ আল-বাহিলি (রাযি.) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, নবীজির সামনে দুজন ব্যক্তির কথা বলা হলো, যাদের একজন আবেদ, আরেকজন আলেম। (তাদের মাঝে কে উত্তম?) নবীজি বললেন, “তোমাদের সর্বশেষ জনের ওপর আমার যেমন শ্রেষ্ঠত্ব, আবেদের ওপর আলিমের অনুরূপ শ্রেষ্ঠত্ব।” এরপর তিনি বললেন, “আল্লাহ তাআলা, তাঁর ফেরেশতাগণ এবং আসমান ও জমিনের অধিবাসী থেকে শুরু করে, পিঁপড়া থেকে পাথর, (জলের) মাছেরা পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য সালাত পেশ করে, যে শিক্ষক মানুষকে উত্তম বিষয় শেখায়।”’ [জামি আত-তিরমিযী (২৬৮৫), মান: হাসান]
.
(৪) অসুস্থকে দেখতে যাওয়া
অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার সময় ফেরেশতাগণ দুআ করেন। নবীজি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অসুস্থকে দেখতে যায়, কিংবা আল্লাহর জন্য ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন, “তোমার মঙ্গল হোক, তোমার জীবন সুন্দর হোক, জান্নাতের একটি মনজিল তোমার হোক।”’ [তিরমিযী (২১৩৯) মান: গরীব হাদীস]
.
(৫) অন্যের জন্য দুআ করা
নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘একজন মুসলিম যখন তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে দুআ করে, সেই দুআ কবুল করা হয়। সে সময় তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা অবস্থান করেন। ব্যক্তি যখন তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দুআ করে, ফেরেশতা বলেন, “আমীন। তোমার জন্যও অনুরূপ”’ [সহীহ মুসলিম (২৭৩৩)]
.
(৬) সেহরি করা
নবীজি বলেন, ‘সেহরি খাওয়ার মাঝে বরকত রয়েছে। তোমরা এটা বর্জন করো না, এক ঢোক পানি হলেও পান করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ সেহরি-কারীর জন্য সালাত পেশ করে।’ (অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দয়া করেন এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য কল্যাণের দুআ করে) [সহীহ আত-তারগীব (১০৭০), শায়খ আলবানী]
.
(৭) প্রথম কাতারে সালাত আদায় করা
নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম সারীর (সালাত আদায়কারীর) প্রতি সালাত পেশ করেন।’ [সহীহ ইবনু মাজাহ (৮২৩), সহীহ: আলবানী]
.
(৮) কাতার পূরণ করা
নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি সালাত পেশ করেন, যারা কাতার পুরা করে। আর যে কাতারের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর বাড়িয়ে দেবেন।’ [ইবনু মাজাহ (১০৪৮), মান: হাসান]
----- সংগৃহীত -----
👍 5
*_মজলুম হই,জালেম না হই...আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষ অবলম্বন করেন..._*
অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে,যারা মানুষের উপর জুলুম করে ও পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরূপ লোকদের জন্য আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।
(সূরা-আশ শূরা- আয়াত-৪২)
বর্ণিত আছে,নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
পাঁচ ব্যক্তির উপর আল্লাহর গযব অবধারিত।দুনিয়াতেই তাদের প্রতি আল্লাহর গযব নাযিল হবে। নচেৎ আখিরাতে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
(১) জাতির সেই শাসক,যে তার প্রজা সাধারণের কাছ থেকে আপন প্রাপ্য আদায় করে নিয়েও তাদের প্রতি ইনসাফ করে না এবং তাদের উপর
যুলুমও রোধ করেন না।
(২) জাতির সেই নেতা, যার নির্দেশ সবাই এক বাক্যে মেনে চলে। অথচ সে দুর্বল ও সবলের মধ্যে সমতা রক্ষা করে না। দুর্বলকে অবজ্ঞা ও সবলের তোয়ায করে এবং আপন খেয়ালখুশী মত কথা বলে।
(৩) যে ব্যক্তি পরিবার পরিজনদেরকে দ্বীনের পথে চলার নির্দেশ দেয় না এবং তাদেরকে
ইসলাম শিক্ষা দেয় না।
(৪) যে লোক শ্রমিকের কাছ থেকে পুরোপুরি শ্রম আদায় করে নেয়, অথচ তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেয় না।
(৫) যে ব্যক্তি স্ত্রীর মোহরানা আদায় করে না এবং তার উপর অচ্যাচার করে।
হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন সালাম (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ “আল্লাহ যখন সকল মাখলুককে সৃষ্টি করেন। তখন তারা দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মাথা উত্তোলন করে আরয করলঃ হে আমাদের রব! আপনি কার পক্ষ অবলম্বন করেন ? আল্লাহপাক
বলেনঃ মযলুমের পক্ষে,যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রাপ্য তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয় ।
হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ রহ. বলেনঃ এক বাদশাহ বিশাল এক অট্টালিকা নির্মাণ করে তা নিপুণ কারুকার্যে সুশোভিত করে। একদা দরিদ্র এক বৃদ্ধা এসে সেই অট্টালিকার পাশে ছোট একটি ঝুপড়ি তৈরী করে বসবাস করতে
শুরু করল।একদিন রাজা অট্টালিকার চার পাশে ঘুরে ফিরে দেখার সময় সেই দরিদ্রের ঘরটি দেখে প্রশ্ন করলেনঃ এটি কার ?
বলা হলঃ এক দরিদ্র বৃদ্ধার।
রাজার নির্দেশে সাথে সাথে ঝুপড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হলঃ অসহায় বৃদ্ধা ফিরে এসে দেখল,তার ঝুপড়িটি ভাঙ্গা। তা দেখে সে লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলঃ কে আমার ঝুপড়ি ধ্বংস করল ? লোকজন বলল, রাজার নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা
হয়েছে। বৃদ্ধা মহিলাটি আকাশের দিকে মাথা তুলে বললঃ হে পরওয়ারদেগার!আমি যখন ছিলাম না, আপনি তখন কোথায় ছিলেন ? আল্লাহপাক তখন জিবরাঈল আঃ কে রাজার প্রাসাদটি মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। তৎক্ষনাৎ তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হল।
তুমি তোমার রবের ইবাদত কর ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার মৃত্যু উপস্থিত না হয়।
_ _
( মৃত্যু...❗
মৃত্যু আসিতেছে...❗
যেকোনো বয়সে...❗
যেকোনো সময়...❗
যেকোনো জায়গায়...❗যেকোনো অবস্থায়...❗
আমাকে থামিয়ে দিবে...❌
অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...❌
আমি কি তৈরি...❓
আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...)
👍 10
Choose a Different Plan
Your current plan allows analytics for only 5 channels. To get more, please choose a different plan.