QUDS NEWS🇵🇸🔻🇧🇩

পাহাড়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এতটা শক্তিশালী যে, পুলিশও রাতের বেলা বের হয় না। শহরের বাইরে তো যেতেই চায় না। এমনকি সেনাবাহিনী বা বিজিবির সদস্যরাও টিম ছাড়া কোথাও যেতে ভয় পায়। সেখানে উপজাতিদের বিরুদ্ধে বাঙালীরা মামলা করতে গেলে নেবে না, এটাই স্বাভাবিক। এমনকি ছোট ছোট নৃগোষ্ঠী গুলো চাকমার মত বড় গোষ্ঠীদের কথার বিরুদ্ধে বা আদেশের বাইরে যেতে পারে না। রাঙামাটির অনেক থানায় সারা বছরে একটা মামলাও হয় না। কারণ প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো এর বিচার করে দেয়। তাদের বাইরে গিয়ে থানায় মামলা দেবে, এই সাহস বাঙালী বা অবাঙালী কারো নাই। সুতরাং মোহাম্মদ মামুনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা লোকদের মামলা নিতে চাইবেনা, এটাই স্বাভাবিক। কারণ যারা মেরেছে, তারা সাধারণ পাহাড়ী উপজাতি না। তারা একটি পাহাড়ী শক্তিশালী দলের সদস্য। ফলে মামলা নিলেও যে গ্রেফতার করতে পারতো তা কিন্তু না। তাও মামলা নিতে পারতো। কিন্তু পিটিয়ে মেরা ফেলা একটা লোকের ব্যাপারে কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই "সে মোটর সাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে পিলারে ধাক্কা খেয়ে মারা গেছে'' বললো কেন? পিটিয়ে মারার অভিযোগ কি ওনি তদন্ত করে দেখেছেন? তদন্ত করার পর যদি এমন তথ্য প্রমাণ থাকতো, তাহলে বলতে পারতো। কিন্তু কোনোরকম তদন্ত ছাড়ায় অভিযুক্তদের ভাষায় ওনার কণ্ঠস্বর কেন? এখন হসপিটালের রিপোর্ট দেখার পর ওসির আবার সুর পাল্টেছে। কিন্তু তার এই বক্তব্যে ইতিমধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ীদের ঘর-দোকান পুড়েছে, বাঙালীদের দোকান পুড়েছে। একে তো মামলা নেয় নাই, দ্বিতীয়ত সন্ত্রাসীদের মুখের ভাষা ওনার মুখে। ফলে বাঙালীরা ক্ষেপে গেছে সেখানে। যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। আরো নানা অত্যাচার তো আছেই। এখন বাঙালীরা উপজাতিদের ঘরে আগুণ দিছে বলে শোনা যাচ্ছে। বাজারে বাঙালীদের দোকানেও আগুন দেয়া হয়েছে। নিশ্চিতভাবে পাওয়ারফুল সন্ত্রাসীদের বাড়ীতে আগুন দেয়ার সাহস কেউ করবে না। কারণ এরা কী পরিমাণ শক্তিশালী সেটা আপনি না জানলে কল্পনাও করতে পারবেন না। যাদের বাড়ীতে দেয়া হবে, দূর্বল বা নিরীহ কারো বাড়ীতেই হবে সেটা। অবশ্য আগুন দিয়ে যে বাঙালীরা পার পাবে সেটা না। পাহাড়ে চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীরাই তাদের হাত থেকে পার পায় না। তুলে নিয়ে যায়, মেরে ফেলে। সেখানে এমন কিছু করে বাঁচতে পারবে না, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে দুই কমিউনিটির মধ্যে ঝামেলা বৃদ্ধি পেল। নিরীহ কিছু লোকজনও সাফার করলো। পাহাড়ীদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষই কিন্তু নিরীহ। নিরীহ মানে খুবই নিরীহ। শান্তিবাহিনীর কিছু ফ্র‍্যাকশন আছে, এরাই চাঁদাবাজি, অপহরণ, নিয়ন্ত্রণ এসব করে। তাদের কাছে বাঙালী, উপজাতি সবাই জিম্মি। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বড় গ্রুপগুলা নিয়ন্ত্রণও করে চাকমারা। সন্ত লারমার মত কয়েকজন। পাহাড়ে ঝামেলা লাগলে এই সন্ত্রাসীদেরই লাভ। তারা উপজাতিদেরকে বাঙালীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপাতে পারবে। তারপর বাঙালীদের কাছ থেকে বেশী বেশী করে চাঁদাবাজি করে সম্পদের পাহাড় গড়তে পারবে। পাহাড় সম্পূর্ণ আলাদা একটা জগৎ। সবুজের ভেতরে শুধুই অন্ধকার। এইসব সন্ত্রাসীদের দমন করে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনী আরো বাড়াতে হবে। আরো তৎপর হতে হবে। বাঙালী, উপজাতি সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পাহাড়ে আগুন জ্বলবে। আমাদের তিন পাশে ঘিরে থাকা দেশ তাদেরকে বরাবরের মত অস্ত্র, টাকা, ট্রেনিং দিয়ে হেল্প করে যাবে। আর এমন স্টেটমেন্ট দেয়া ওসিকে প্রত্যাহার করে আরো গভীর জঙ্গলে পোস্টিং দিতে হবে। -তাহমিদ

বাংলাদেশ ভালো নেই, সরকারকে কেন জানি এখনো শক্ত মনে হচ্ছেনা।শক্ত কোন স্টেপ দেখছিনা। এভাবে আওয়ামী কায়দায় পিটিয়ে মানুষ হত্যা শহীদদের আত্মাত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অন্যদিকে পাহাড়ে চলছে আরেক মহোৎসব, হত্যার মহোৎসব। সম্প্রীতির পাহাড়ে সন্তু লারমা গং আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর পূর্ণ মেজিস্টিসি পাওয়ার দরকার। পাহাড়ে সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে। দেশরক্ষায় সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করা ২৩৮ টি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে, পুনরায় স্থাপন করার জোর দাবি জানাই।

কতটা হিংস্র দেখেন পাহাড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা, তারপরও কি আপনাদের মনে হয় পাহাড়ের সেনা শাসন চলতেছে? যেখানে সেনা সদস্যদের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চিল্লাচিল্লি করতেছে ওদের গায়ের উপরে এসে পড়তেছে!

কতটা হিংস্র দেখেন পাহাড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা, তারপরও কি আপনাদের মনে হয় পাহাড়ের সেনা শাসন চলতেছে? যেখানে সেনা সদস্যদের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চিল্লাচিল্লি করতেছে ওদের গায়ের উপরে এসে পড়তেছে???

ঘটনার সুত্রপাত এখান থেকে, এই হত্যার প্রতিবাদে ছাত্ররা মিছিল করলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা ও গুলি চালায় পাহাড়ের উপজাতিয় উগ্র সন্ত্রাসীরা।

খাগড়াছড়ি সদরের নিউজিল্যান্ড নামক এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে মামুন নামের এক বাঙ্গালী যুবককে। সে জেলা সদরের ৬ নং পৌর ওয়ার্ডের মধ্য শালবাগান এলাকার মৃত নুর নবীর ছেলে। তার স্ত্রী, দুটি সন্তান ও তার মা রয়েছে। সে যুবদলের সমর্থক ছিল বলে জানিয়েছে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে নিউজল্যান্ড এলাকার নোয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রবিরোধী এই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে দেখবেন শাহবাগী বামেরা একটা শব্দও উচ্চারণ করবেনা। কারণ তারা পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্মের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী। এরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ওপর এমন নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্যই সবসময় পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দাবি তুলে।

এভাবে কি পাহাড়ে শান্তি-সম্প্রীতি আসবে? যারা পাহাড়ে শান্তির কথা বলেন তারা কি কখনো এই উগ্র বর্বর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শান্তির পথে আসতে বলেছেন? আজকে রাতে খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় বাঙালিদের উপর হামলা করার জন্য এই ভাবে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা গাড়ী ভরে ভরে যাচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক অসংখ্য বাঙালিদের নির্মম নির্যাতন করায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছে। স্থান: টাইগারপাস, দুই নাম্বার গেইট, ষোলশহর

খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় বাঙালি গ্রামে ও বাজারে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলা-অগ্নিসংযোগ। বেশি বেশি শেয়ার করে বাংলার জনগনকে জাগ্রত করুন এখনি।