cookie

We use cookies to improve your browsing experience. By clicking «Accept all», you agree to the use of cookies.

avatar

কিচিরমিচির-Kichirmichir

Advertising posts
312
Subscribers
No data24 hours
No data7 days
No data30 days

Data loading in progress...

Subscriber growth rate

Data loading in progress...

Repost from Reflections
আমাদের নিজস্ব সিলেবাস থাকতে পারতো। যেখানে হারাম কিছু শিখবে না বাচ্চারা। থাকতে পারতো এমন একটা সেন্ট্রাল সিস্টেম যেটা কাফিরদের পরীক্ষা ব্যবস্থা, অথবা তাদের সিলেবাসের মুখাপেক্ষীই না। থাকতে পারতো মুসলিমদের নিজস্ব পরীক্ষা ব্যবস্থা- যেই সিলেবাসে পড়াশোনা করে যে কেউ মুসলিম বিশ্বের যেকোনো দেশে চাকরি পাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। আমরা হতে পারতাম এমন যে, আমরা আমাদের সিলেবাসে চলবো, কাফিররা সেটাকে স্বীকৃতি না দিলেও সমস্যা নেই- আমাদের ওদের মাঝে সন্তানকে পড়তে পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের সন্তান শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী মুসলিম দেশেই থাকবে। কিন্তু না! আমরা নিজেরাই তো সেটা করবো না- মুসলিমদের বোর্ড দিয়ে তো আর কাফিরদের স্বীকৃতি পাওয়া যাবে না। সন্তান যদি কাফিরদের দেশে গিয়ে স্বীকৃতিই না পায়, তাহলে কিভাবে হবে? আমাদের সন্তানদের ওদের স্বীকৃতি দরকার ছিল না। দরকার ছিল মুসলিম হওয়া। আমরা সেসব বুঝলামই না। তাই এখন কেউ চোখ বন্ধ করে সন্তানকে কাফিরদের সাজানো সিলেবাসের সাথে ছেড়ে দিবে। আর কেউ কেউ ঠোকর খেতে থাকবে- একবার বাংলা মিডিয়ামে পড়াতে গিয়ে আরেকবার ইংলিশ মিডিয়ামে। ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে করে শেষ পর্যন্ত সন্তানের মাথায় হাবিজাবির পথ করে দিতে দিতে। কাফিরদের সাজানো সিস্টেমে কি কাফিরদের সিলেবাস সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে পড়ানো সম্ভব? তাহলে পরীক্ষায় কী লিখবে? আমরা তাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো শুধু- পরিস্থিতির অধঃপতন, অতঃপর আরো অধঃপতন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে হিদায়াত করেন।
Show all...
Repost from Reflections
তারবিয়্যা সিরিজ (২) সন্তানকে দ্বীনের ওপর বড় করার জন্য বাবা-মায়ের ভূমিকা অনেক বড়। তাই তাঁরা কতটা আল্লাহ-ভীরু, হালাল হারাম নিয়ে কতটা সচেতন, এই সবকিছু সন্তানকে প্রভাবিত করে। আমরা অনেক জায়গায় ভালো প্যারেন্টিং টিপস খুঁজি। কিন্তু, যদি সুন্নাহর দিকে তাকাই, সাহাবাদের সময়টা পর্যবেক্ষণ করি- এই বিষয়ে অনেক বিষদ বর্ণনা নেই। অপরদিকে কিভাবে ভালো মুসলিম হতে হয় এই বিষয়ে প্রচুর কথা রয়েছে। সন্তানের বাবা-মা যখন ভালো মুসলিম হবেন, আপনা থেকেই তাঁরা ইসলামের সীমার মাঝেই সন্তানকে বড় করবেন। তাই বাবা-মায়ের দ্বীন জানাটা এক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী। একজন অনেক ভালো ড্রাইভার যে কিনা সতর্ক থাকে রাস্তায়, সমস্ত নিয়ম মেনে চলে, যাত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে- তার কিন্তু শুধু এই গুণগুলো যথেষ্ট না। তার মূল যেই দক্ষতা, গাড়ি চালানো, সেটা সে তখনই ঠিকমত করতে পারবে যখন সে জানবে তার কোথায় যাওয়া লাগবে এবং কোন পথে। সন্তান বড় করতে যাবতীয় প্যারেন্টিং থিওরীর আগে তাই আসে এটা যে, বাবা-মায়ের জানা থাকা লাগবে আল্লাহর সীমা, এবং সেই সাথে জানা থাকা লাগবে যে সেই সীমায় সন্তানকে কেন রাখতে হবে, সেটা কতটা জরুরী। তখন গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব, ইন শা আল্লাহ। তাই, আল্লাহকে কেন মেনে চলতে হবে, হালাল-হারাম নিয়ে বিস্তারিত, ইত্যাদি সম্পর্কে বাবা-মায়ের স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে in the first place। সব জ্ঞান কারো পক্ষে অর্জন করা সম্ভব না - তাই অনেক কিছু জানার পরও ভুল হবে। কিন্তু হারামকে হারাম জানলে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকা আর হালাল কিনা জেনে নিয়ে কোনো কিছু করা- এটা যদি অভিভাবকের মূলনীতি হয়, সন্তানও বিষয়গুলো সেভাবেই দেখতে শিখবে। আর তাঁরাই যদি এসব বিষয় হালকাভাবে নেন, উদাসীন থাকেন হালাল-হারাম নিয়ে, সন্তানও এসব সিরিয়াসলি নিবে না, সেটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে আমরা চারপাশে এই সমস্যাটা দেখি ঘুরে ফিরে। বিভিন্ন হারামে সন্তানেরা অভ্যস্ত কারণ, এই হারামগুলোকে বাসায় এবং স্কুলে হালকাভাবে দেখা হয়। স্কুলের প্রসঙ্গে আমরা পরে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ। (চলবে ইন শা আল্লাহ)
Show all...
#দেয়াল_দাগানো #ক্লাসরুম_টিপস দেয়ালে দাগ দেওয়া বা ছবি আকাআকি করাকে অনেকেই বাচ্চার ক্রিয়েটিভি প্রকাশের স্পেইস মনে করেন। কিন্তু এখানে ভাবার মতো জরুরি কিছু পয়েন্ট আছে! আপনার বাচ্চা যখন আপনার বাসার দেয়ালে দাগাদাগি করছে তখন সে ভাবছে এই কাজটা সব যায়গাতেই সে করতে পারবে। আপনি এমন কারো বাসায় গেলেন যার বাসায় হয়তো এটা এলাউড না বা যার বাসা ডিজাইনার দিয়ে সাজানো, অথবা ভাবেন কোন অফিসে গেলেন যেখানে ওয়েল ডেকোরেটেড একটা পরিবেশ, সেখানে গিয়ে বাচ্চা যদি দেয়ালে দাগ দিয়ে বসে বিষয়টা উভয় পক্ষের জন্যই কিন্তু বিব্রতকর হবে! তারচেয়েও বড় আরেকটি পয়েন্ট আছে! স্কুল এর টিচার ছিলাম বিধায় জানি একটা ক্লাসরুম সাজাতে টিচারদের কি পরিমাণ পরিশ্রম করা লাগে। তখন যখন স্টুডেন্ট বাসায় দেয়ালে দাগায় বলে স্কুলের দেয়াল্টাও দাগিয়ে নষ্ট করে ফেলে তখন কর্তৃপক্ষের জন্য খুবই কষ্টের হয় বিষয়টা মেনে নেওয়া! আচ্ছা পাবলিক প্লেইসে অমুক+তমুক কিংবা হাবিজাবি লেখা দেখলে আমরা বিরক্ত হই কেন? তারাও তো নিজেদের ইমোশন কে ক্রিয়েটিভ ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করছে (তাদের জ্ঞানের লেভেল অনুযায়ী)। ঠিক এমনি ভাবে অন্যরাও কিন্তু আমাদের হাবিজাবি আকা দেয়াল দেখে বিরক্ত হতে পারে! লাস্টলি, বাচ্চা যখন দেয়ালে দাগাচ্ছে ইন ডিরেক্টলি একটা সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, ভাড়া বাসা হলে বাসা শিফটিং এর সময় একটা বড় এমাউন্ট জরিমানা দিতে হচ্ছে। এসবের একটা অল্টারনেট হিসেবে আপনি বড় বোর্ড বাসায় রাখতে পারেন অথবা দেয়ালের একটা অংশ ওয়াশেবল কোন প্লাস্টিক লাগিয়ে দিতে পারেন যেখানে দাগাদাগি করলেও মুছে ফেলা যাবে৷ আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বাচ্চার ক্রিয়েটিভি আবার আমরা নষ্ট করে ফেলছি নাকি! বিষয়টা মোটেও সেরকম না! একবার দাগাদাগি করে দেয়াল নষ্ট করে ফেলার পর বাচ্চার নিজেরো আর সেই ঘরটা বেশিদিন ভালো লাগে না, সেও একটা নীট এন্ড ক্লীন পরিষ্কার যায়গা পছন্দ করে। বছর শুরু হয়েছে, নতুন ক্লাসরুমে যাওয়ার আগে আমরা আমাদের বাচ্চাদের এই বিষয়টি যেন একটু সুন্দর করে বুঝিয়ে বলি যে ক্লাসরুম বা অন্য কোন যায়গার দেয়াল পরিচ্ছন্ন রাখলে পরে আমাদেরই দেখতে সুন্দর লাগবে, মন ও ভালো থাকবে। #practicalparenting10 https://www.facebook.com/100063668345741/posts/pfbid027M7nVwBuBWpfbkoutS1g32Nei69y9us3KfmuBXgNKR3jcwVQdY72iCFaREABKwYVl/?mibextid=Nif5oz
Show all...
Log in or sign up to view

See posts, photos and more on Facebook.

Photo unavailableShow in Telegram
*উমার (রা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী* *ইব্রাহীম মুহাম্মাদ* *১১ জানুয়ারি ২০২৩, সন্ধ্যা ৬:০০ টা* *Join Zoom Meeting* https://us06web.zoom.us/j/87815322129?pwd=dFR5VmhobG9rQXFKVlRVSzZ0QTBHZz09 *Meeting ID:* 878 1532 2129 *Passcode:* icdhalaqa *Live link:* http://icdbd.org/live
Show all...
Repost from Reflections
তারবিয়্যা সিরিজ: ১ বাচ্চাদের তো হিসাব নেই, তাহলে ওদেরকে ছোট বেলা থেকেই হালাল-হারাম শিখিয়ে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে আমাদের বুঝতে হবে, একটি শিশু কতদিন পর্যন্ত "শিশু"? হিসাব নেই কতদিন পর্যন্ত? ইসলামের পরিভাষায়, বালেগ না হওয়া পর্যন্ত। একটি শিশু কখন বালেগ হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংক দেখুন। তাহলে, যখন একটি শিশু বালেগ হয়ে যায়, তখন থেকেই তার হিসাব শুরু হয়। পৃথিবীর আইন অনুযায়ী আঠারোতে আমরা সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক বলি না, আরো আগেই সেই সময়টা চলে আসে। তাই কারো সন্তান নিতান্তই "শিশু" আর তার এখন গুনাহ নেই- এমন ভাবার আগে খেয়াল করতে হবে সন্তান বালেগ কিনা। বালেগ হলে সে দায়িত্বশীল মুসলিম যার কাজের হিসাব তার দিতে হবে, যদিও বা বাবা-মা অথবা বর্তমান সমাজের চোখে সে "বাচ্চা" থাকে। এবার আসি আমাদের মূল প্রশ্নের উত্তরে। একটি বাচ্চা তার মাকে প্রশ্ন করেছিল, "আমার তো এখন হিসাব নেই, তাহলে মিথ্যা বললে কী হবে?" মা উত্তর দিয়েছিলেন, "বাবা, তোমার এখন হিসাব নেই। কিন্তু এখন যদি তুমি মিথ্যা বলো, তাহলে এটা তোমার অভ্যাস হয়ে যাবে। যেই বয়সে তোমার হিসেব শুরু হবে, তখন তুমি হঠাৎ করে এই অভ্যাস ছাড়তে পারবে না। আর তখন কিন্তু গুনাহ হতে থাকবে। তাই তখন যেন গুনাহ না হয়, সঠিক কাজগুলো তোমার এখন থেকেই শিখতে হবে।" আমরা সামনে যা কিছু নিয়ে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ এই সিরিজে, তার বেলায় এই বিষয়গুলো আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। এক, হিসাব না হওয়ার বয়সটা অনেক অল্প দিনই থাকবে। দুই, সেই হিসাব শুরু না হওয়ার বয়স থেকে সন্তানকে ট্রেইন না করলে পরবর্তীতে সন্তান হিসাব মেলাতে পারবে না- কারণ ততদিনে সে গুনাহ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। (চলবে ইন শা আল্লাহ) https://islamqa.info/en/answers/197392/if-any-of-the-signs-of-puberty-appear-in-a-boy-he-becomes-accountable
Show all...
If any of the signs of puberty appear in a boy, he becomes accountable - Islam Question & Answer

Repost from Reflections
কুরআন শিক্ষকের থেকে মানুষ আশা করে তাঁর ব্যবহার হবে মাখনের মত। আশা করাটা ভুল না। কিন্তু শিক্ষকের সাথে নিজের ব্যবহার কাঁটা-গাছের মত হলেও শিক্ষকের ব্যবহার মাখনের মতই হতে হবে, এই আশা করাটা ভুল। একজন কুরআন শিক্ষকের কাজ ছাত্রের যাবতীয় তাচ্ছিল্য, অনিয়ম, অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে মুখ বুজে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা না! কুরআন শিক্ষকের কাছে ছাত্র কেবল কুরআন পড়তেই শেখে না, দ্বীন ও শেখে। ডিসিপ্লিন শেখে। Do's and don'ts শেখে! তাই ছাত্র অভদ্র হলেও শিক্ষক কিছু বলবেন না, নিয়ম ভঙ্গ করলেও মিষ্টি কথা বলবেন- এরকম হতে হলে শিক্ষকতা তো ছেড়ে দিতে হবে! অন্যায় আর ন্যায় যার কাছে একই বিষয়, তিনি কিভাবে কুরআন শিক্ষক হবেন? আর যদি দুইটা দুই বিষয় হয়, সব ক্ষেত্রে একই প্রতিক্রিয়া তিনি কিভাবে দেখাবেন? নিয়ম ভাঙার পর, অন্যায় আবদারের পর শিক্ষক যদি প্রতিক্রিয়া দেখান, ছাত্র তখন "কুরআন শিক্ষক এমন হয়?" বলে সেই শিক্ষককে ত্যাগ করে। কেন এমন করে জানেন? নিয়ম ভঙ্গের জন্য শিক্ষক কড়া হলেও, নিজের অপমানের জন্য তিনি ছাত্রকে উত্তর দিবেন না, তাই! তিনি উল্টা বলবেন না, "কুরআন ছাত্র কি এমন হয়???" তিনি বদদোয়াও দিবেন না। কুরআন শিক্ষকদের স্থান মানুষের মনে এই জায়গায়- এজন্য না যে তাঁরা ছাত্রের অন্যায় দেখে দুটো কড়া কথা বলে ফেলেন। এজন্য যে, সেই ছাত্র কখনোই তাঁকে মর্যাদা দিয়ে পড়তে আসেনি। এজন্য যে, ছাত্র পড়তে আসার আগে ভুলতে পারেনি নিজের সামাজিক অবস্থান, আর্থিক অবস্থা অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতা। কুরআন শিক্ষকের প্রতি যেই অবজ্ঞাকে সম্মানের চাদরে ঢেকে ছাত্র কুরআন শিক্ষকের কাছে আসে, সেই চাদর তাই অল্পতেই সরে যায়। সত্যিই কি ভাবেন যত ভালো ভালো উলামাদের কথা আমরা শুনি, তাঁদের শিক্ষকেরা পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন? ছিলেন না। কিন্তু তাঁদের ছাত্ররা শিক্ষকের ভুল ত্রুটি থাকবে মেনে নিয়ে এবং নিজের ভুল ত্রুটি শুধরাতে হবে বুঝে নিয়ে শিক্ষকের সাথে ধৈর্য্য রাখতেন। শিক্ষক যেমন পরিপূর্ণ মানুষ না, আমরা নিজেরাও পরিপূর্ণ না- এই কথাটা বুঝেই শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতে হবে। শিক্ষক যদি কড়া কথা বলেন, তাহলে নিজে কী করেছি সেটা বুঝার মত সাহস রাখতে হবে- তাহলে নিজেকে ঠিক করতে পারবো। যেই সম্মান/ভালোবাসা একজন শিক্ষকের একটি কথায় উবে যায়, সেটা আদৌ সম্মান/ভালোবাসা ছিল কিনা, নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। শিক্ষক আমাদের মত করে সব শুনলে ঠিক আছে, নাহলে তিনি আবার কেমন শিক্ষক- এমন ধারণা নিয়ে কি সত্যিই কিছু শিখতে এসেছি? নাকি দয়া করে পড়তে এসেছি, ভাবতে হবে! কুরআন পড়ার মাধ্যমে আমরা না আল্লাহকে দয়া করি (আউযুবিল্লাহ) আর না শিক্ষককে। পড়ার দায় নিজেদের! শিক্ষকের কাজের জবাবদিহী আমাদের করতে হবে না, নিজেদের আচরণের জবাবদিহীতা কিন্তু নিজেদের! এই পৃথিবীতে যেকোনো সম্পর্ককে অপমান করতে মানুষ দশবার ভাবে। সম্পর্কের খাতিরে হোক, স্ট্যাটাসের খাতিরে হোক, রেজাল্টের ভয়ে হোক। কিন্তু কুরআন শিক্ষককে অপমান করতে মানুষ দুইবার ভাবে না! কারণ? তিনি তো সামান্য কুরআন শিক্ষক! তাঁর কাজই তো সব সহ্য করা! আর যদি সেটা না করেন, তাহলে "কুরআন শিক্ষক হয়ে এমন কেন?" বলার অস্ত্র তো রইলোই। একটা সিক্রেট বলবো? সত্যিকারের কুরআন শিক্ষকেরা ছাত্রদের সম্মানের মুখাপেক্ষী না।তাঁদের অপমান করে সাময়িক কিছু কষ্ট হয়ত দেয়া যাবে- তার বেশি কিছুই হবে না। যেই সম্মান তিনি আপনার কাছে চাইছেনই না, সেই সম্মান আপনি তাঁর থেকে কেড়ে নিবেন কিভাবে? আপনি জানবেন না, সেই শিক্ষক এরপরও আপনার জন্যই দোয়া করবেন। কারণ, আপনার করা অপমানের ক্ষতিগ্রস্ত তো একমাত্র আপনি! কুরআন শিক্ষক ছাত্রের ক্ষতি চান না। শিক্ষক কেমন হতে হয় সেটা শিক্ষকেরা শিখতে চেষ্টা করেন, ট্রেনিং নেন... আর অপমান করে ভালো করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ছাত্ররা তো রইলোই। বরং আসুন আমরা এখন থেকে শিখতে চেষ্টা করি, কুরআন শিক্ষার ছাত্র কিভাবে হতে হয়!
Show all...
Repost from Writing-Therapy🌻
আমি খুব চাই আমাদের সন্তানরা মুসআব ইবনে উমায়ের(র.) এর গল্পটা বুকে নিয়ে বড় হোক। কীভাবে মক্কার সবচেয়ে ফ্ল্যাশী, ধনী, হ্যান্ডসাম, টিনেজ বয়সী ছেলেটা গোটা মদীনাকে প্রস্তুত করেছিল রাসুলের (স) আগমনের আগে!! পুরো একটা শহরকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করা কোন চাট্টিখানি কথা না, যেখানে পরিচিত আন্টিকে গীবত না করার দাওয়াত দিতে গিয়ে আমাদের গলায় জট পাকিয়ে যায়। মুসআবের আতরের গন্ধ নেয়ার জন্য লাইন ধরে মক্কার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতো! আল্লাহর দ্বীনের জন্য এই মুসআব সমস্ত বিলাসিতা ছেড়েছিল। তার মা মুসআবকে সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিল শুধুমাত্র এই জন্য কারণ সে ইসলাম গ্রহণ করেছে। এমনকি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার পরনের কাপড়টা পর্যন্ত খুলে রেখে সে চলে গেছে ইসলামের খিদমতে। মুসআব যেই কাপড় পড়তো, সেটাই মক্কার ব্রান্ড হয়ে যেত। আজকের Gucci, Michael Kors এসমস্ত তখনকার মুসআবের নখদর্পনে। আর সেই মুসআব কীভাবে জীর্ণ ছেঁড়া পুরাতন জামা পরে, খেয়ে না খেয়ে দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছে আল্লাহর জন্য, সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার জন্য―আমি চাই আমাদের সন্তানরা সেটার খবর রাখুক! কীভাবে তার চমৎকার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মদিনার তরতাজা ইয়াং লিডারদেরকে সে ইসলামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল, এবং তার হাতেই বড় বড় মদিনার গোত্রের বড় বড় লিডাররা মুসলিম হলো! আজকের মদিনা এই মদিনা হতো না, যদি কিনা মুসআব (রা.) তার অবদান না রাখতেন! ঐ মদিনার লিডার সা'দ ইবনে মুআয (র.) ১৮ কি ২০+ বছর বয়সে কতটা দৃঢ়তার সাথে রাসুল (স) কে বদরের যুদ্ধের সময় বলেছিল , "ইয়া আল্লাহর রাসূল (স), আপনি এগিয়ে যান আমরা আপনার সাথে সাথে আপনাকে প্রতিটা পদক্ষেপে ফলো করবো, যদি আপনি যদি লড়তে লড়তে সমুদ্রের ভেতরেও চলে যান, আমরা একজনও আপনাকে ছেড়ে অন্য দিকে যাব না। আল্লাহ আমাদেরকে আপনার জন্য চক্ষু শীতলতাকারী করুক... " আমার ইচ্ছা, আমাদের সন্তানরা এই মানুষগুলোকে ভালোবেসে বড় হোক। আমার বাচ্চারা মুসআব, সা'দ, বিলাল (রা), সালমান ফারসী, জুবায়ের ইবনে আউয়াম (রা)―এই মানুষদের জীবন গল্প শুনে বড় হোক। মুসআবদের মত তরুণরা ওদের রোল মডেল হোক। তাদের স্যাক্রিফাইস এবং সাহসিকতা জেনে ওদের চোখে পানি আসুক। তবে কি পরিমাণ দুঃখ! আমাদের বাচ্চারা এই মানুষগুলোর নামই জানে না! আমরা মা বাবারাও হয়তো টেনে টেনে পাঁচ জন সাহাবীর পরে আর কারো নাম বলতে আমতা আমতা করব। তাদের নাম-ই যেখানে জানিনা, সেখানে তাদের জীবন গল্প কীভাবে জানবো? তাদের জীবন গল্প জানার চেষ্টাও করলাম না, তাহলে তাদেরকে রোল মডেল করে কিভাবে দুনিয়া আখিরাতে সফল হওয়ার চেষ্টা করবো? কি হয় যখন আমরা আমাদের সালফে-সালেহীনদের আদর্শ এবং নামটা পর্যন্ত ভুলে যাই? তখন তারা তো আর আমাদের রোলমডেল লিস্টে থাকেন না। তখন রোল মডেল লিস্টে আসবে রোনালদোরা, মেসীরা, নেইমাররা, পপ কালচারের মিউজিসিয়ানরা, এবং অশ্লীলতার ভরপুর সেলিব্রেটিরা। হাসবুনাল্লাহ! মুসআবদের মত তরুণরা আমাদের সন্তানদের রোল মডেল হোক। মুসআবদের মত এত গভীর অর্থপূর্ণ মানুষ আমাদের গণ্ডিতে থাকার পরেও আমরা কোন দিকে যাচ্ছি, হায় আফসোস! এই রোনালদোরা আমাদের সন্তানদের জীবনে idol লিস্টে না থাকুক। খেলোয়াড়ের কান্না দেখে সে কাঁদবে, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে গিয়ে চোখে একফোঁটা পানিও আসবে না―এই বিপর্যয় যেন আমাকে দেখতে না হয়। একটি তারের জালে বল ঢুকাতে পারার আনন্দে সে আশেপাশের সমস্ত পাড়ার মানুষকে কষ্ট দিয়ে চিৎকার না করুক। সভ্যতা, ভারসাম্য, এবং প্রিন্সিপাল ধরে রাখুক। এই উন্মাদনার শেষ আছে? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। "অতএব, আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা বাকবিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌতুক করুক সেই দিনের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যে দিনের ওয়াদা তাদের সাথে করা হচ্ছে।" (কুরআন ৭০:৪২)
Show all...
Photo unavailableShow in Telegram
প্যারেন্টিং সম্পর্কিত বই সাজেস্ট করতে বললে আমি সবসময় যেই নামগুলো বলি সেখানে এই সিরিজটা থাকবেই। চমৎকার এই প্যাকেজে ৬টি বইতে সন্তান প্রতিপালনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দর সাবলীল ভাষায় ফুটে উঠেছে আলহামদুলিল্লাহ। মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের জন্যেও রয়েছে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে নাসীহা। সমকালীন প্রকাশনের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব বইতে থাকছে ৫০% ছাড়। তাই ৯৩৫ টাকা মূল্যের পুরো সিরিজটি এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৬৮ টাকায়! অনলাইন-অফলাইন সব বুকশপে চলছে এই অফার। যারা বেশি দামের জন্য কিনতে পারছিলেন না, আশা করি তারা এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! এই সিরিজের বইগুলো - ▪️সন্তানকে বইমুখী করার কৌশল ▪️পারিবারিক সম্পর্কের বুনন ▪️সন্তান গড়ার কার্যকরী কৌশল ▪️শিশুদের সমস্যা আমাদের করণীয় ▪️সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালের মনস্তত্ত্ব ▪️সুখী পরিবার নির্মাণের রূপরেখা অর্ডার লিংক : https://www.rokomari.com/book/221099/adorsho-family-series আল্লাহ সমকালীনের যাত্রায় বারাকাহ দান করুন। আমীন। ~ সিহিন্তা শরীফা (তারবিয়াহ)
Show all...
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি চাইল্ড পর্ন তৈরি হয় কোন দেশে জানেন? থাইল্যান্ডে। দুই নম্বরে, 'বাংলাদেশ' অনেকগুলো ফেসবুক সিক্রেট গ্রুপ আছে যেখানে এই কনটেন্টগুলো সেল করা হয়। কিছু কিছু গ্রুপ আছে যেখানে বাচ্চাদের লাইভ এনে জিজ্ঞেস করা হয়, মেম্বাররা কি দেখতে চায়।' যা চায় তা-ই করা হয়, আর সেজন্য মেম্বাররা অনেক 'ডলার' দিয়ে ওই গ্রুপে থাকে। কথাগুলো বলেছেন ওমর আল জাবির ভাই যিনি মেটার মেসেনজারের সিকিউরিটি টিমে কাজ করেন। ভাইয়া যখন বলছিলেন, "কী ভয়ংকর সব কনটেন্ট সেসব গ্রুপে থাকে, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না" - আমি সত্যই কল্পনা করতে পারি নাই, চাই-ও না। আমাদের চারপাশে অনেক শিশু অ্যাবিউজড হচ্ছে। খুন হচ্ছে, নদীতে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। ইজি মানির লোভে বাচ্চাদের ধরবে এমন লোকের সংখ্যাও বাড়ছে। আপনার বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন। মুসলিমদের নিয়ে কমিউনিটি তৈরি করে তাদের সাথে থাকুন। এইটা একটা জম্বিদের দেশ হয়ে গেছে, আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরই করে নিতে হবে। ~Sharif Abu Hayat Opu Bhai
Show all...
Choose a Different Plan

Your current plan allows analytics for only 5 channels. To get more, please choose a different plan.