রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD
রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির টেলিগ্রাম চ্যানেল এটি। ------ টেলিগ্রাম বট: t.me/ruqyahbdbot ওয়েবসাইট: ruqyahbd.org সাপোর্ট গ্রুপ: facebook.com/groups/ruqyahbd
Show more6 041
Subscribers
+124 hours
+257 days
+9730 days
- Subscribers
- Post coverage
- ER - engagement ratio
Data loading in progress...
Subscriber growth rate
Data loading in progress...
ruqyahbd.org Offline Browser 01.08.2024
RuqyahBD offline browser 01.08.2024.zip551.32 MB
❤ 5👍 4
Ruqyah Support BD Homepage Offline Browser 01.August.2024
————----
ডাউনলোড লিংক - https://archive.org/details/ruqyahbd.org-offline-01082024
বিকল্প লিংক - https://t.me/ruqyahbd/721
———-
বিসমিল্লাহ,
ruqyahbd.org ওয়েবসাইটের এই অফলাইন ব্রাউজারটি মূলত kiwix এর উপযোগী। এটি ব্যবহার করে আপনি ইন্টারনেট ছাড়াই পুরো ওয়েসাইট পড়তে পারবেন।
--
যেভাবে ব্যবহার করবেন =
১. প্রথমে এই জিপ আর্কাইভটি ডাউনলোড করে আনজিপ করুন
২. এখানে ruqyahbd.org_offline-01082024.zim এরকম নামের একটি zim ফাইল পাবেন যার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব ডেটা আছে।
৩. এটি পড়ার জন্য দরকার হবে kiwix সফটওয়ার,
--- এর উইন্ডোজ ভার্সন পাবেন kiwix-desktop_windows_x64.... ফোল্ডারে প্রবেশ করলেই। সেখানে kiwix-desktop.exe ওপেন করুন। (সাথে vc_redist.x64.exe দেয়া আছে, প্রয়োজন হলে আগে এটি ইন্সটল করে নিন।)
--- আপনি চাইলে ব্রাউজারের মাঝে PWA অ্যাপ চালু করেও এই ফাইল রিড করতে পারবেন, যা পাওয়া যাবে এইখানে - https://pwa.kiwix.org/
--- উইন্ডোজ ব্যতীত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কিউইক্স সফটওয়ার পাবেন এই লিংকে - https://kiwix.org/en/applications/
৪. কিউইক্স ওপেন করে শুরুতেই ওপেন ফাইল অপশন বা আইকন পাবেন, সেখানে ক্লিক করার পরে একটু আগে আনজিপ করা ruqyahbd.org_offline-01082024.zim ফাইলটি সিলেক্ট করে ওপেন করুন।
৫. আশা করছি এখন আপনি বেশ ভালোভাবেই ruqyahbd.org ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন, এবং ইন্টারনেট ছাড়াই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো পড়তে পারছেন।
৬. এরপর থেকে আপনি কিউইক্স সফটওয়ার ওপেন করলে প্রথম পেজেই সর্বশেষ ওপেন করা ফাইলের নাম দেখতে পাবেন। সেটাতে ক্লিক করেই ওপেন যাবে।
৭. কোনো বিষয়ের প্রবন্ধ সহজে খুঁজে পেতে কিউইক্সের ওপরে থাকা সার্চবার ব্যবহার করুন।
৮. আর্কাইভের সাইজ ছোট রাখার স্বার্থে এর মাঝে রুকইয়ার অডিও বা পিডিএফ ফাইলগুলো সংযুক্ত করা হয়নি। আপনার প্রয়োজন থাকলে অনুগ্রহ করে আগেই ডাউনলোড করে রাখুন। (মূল ওয়েবসাইট ruqyahbd.org ভিজিট করতে না পারলে আর্কাইভ.অর্গ থেকে চেষ্টা করুন - https://archive.org/details/ruqyah-audios-ruqyahbd.org )
---
রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির এই প্রজেক্ট এর ব্যাপারেও আপনাদের সুপরামর্শ, মতামত ও দোয়া কাম্য।
জাযামুল্লাহু খাইরান।
-----
পরিবেশনায় Ruqyah Support BD
👍 7
জিনের সাহায্য নেয়ার পক্ষে দলিল হিসেবে সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর ঘটনা উল্লেখ করতে দেয়া যায় অনেককে। এটা ভুল দলিল।
সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর এসব ঘটনা আমাদের জন্য দলিল না। এটা উনার জন্য ইউনিক। আমাদের রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের আমল কি ছিল সেটা দেখা জরুরি। উনারা তদবিরের জন্য জিনের সাহায্য চাইতেন কি না।
রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিন আক্রমণ করতে আসলে উনি ধরার পরেও ছেড়ে দিয়েছেন সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর কথা মনে করেই। সুলাইমান আলাইহিস সালামকে আল্লাহ যে ফ্যাসিলিটি দিয়েছে, সেটা অন্য কারও জন্য না। উনি দোয়া করেছিলেন -
قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّن بَعْدِي ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ [٣٨:٣٥]
সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।
..
عن أبي هريرة:] إنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الجِنِّ تَفَلَّتَ البارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلاتِي، فأمْكَنَنِي اللَّهُ منه فأخَذْتُهُ، فأرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ على سارِيَةٍ مِن سَوارِي المَسْجِدِ حتّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمانَ: رَبِّ هَبْ لي مُلْكًا لا يَنْبَغِي لأحَدٍ مِن بَعْدِي، فَرَدَدْتُهُ خاسِئًا.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবীজি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য ইফরিত জ্বিন গত রাতে আমার সালাতে বাধা দিতে এসেছিল। আল্লাহ্ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান (‘আঃ)-এর এ দু’আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। অতঃপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম।
- বুখারি ৩৪২৩
.
আমরা অন্য হাদিসে দেখেছি জ্বিনদের ক্ষতি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দোয়া শিখিয়ে দিচ্ছে জিবরীল আলাইহিস সালাম। (أعوذُ بوَجهِ اللهِ الكريمِ، وبكَلِماتِ اللهِ التّامّاتِ التي لا يجاوِزُهنَّ بَرٌّ ولا فاجِرٌ) আমরা সেই দোয়াটা প্রতিদিন পাঠ করি।
সুতরাং আমরা এদের থেকে দূরে থাকবো, এদের ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইবো, বেশি ঝামেলা করতে আসলে মাইর লাগাবো। সাহায্য চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
....
edit: আর মূলতঃ সুলাইমান আলাইহিস সালামও জিনদের সাহায্য নেননি, বরং জিনরা উনার কাজ করতে বাধ্য ছিল। এজন্য সুলাইমান আলাইহিস সালামের ইন্তিকালের পরে তারা অন্য নবী কিংবা বাদশাহদের আনুগত্য করেনি। কোরআনে আছে - পানির শয়তানরাও উনার অনুগত ছিল। এখন এতে পানিতে থাকা শয়তানদের কাছে সাহায্য চাওয়া বৈধ হয়ে যায় না।
আরেকটা বিষয় হলো, সুলাইমান আলাইহিস সালামের ওপর জাদুচর্চা-জিনসাধনার অপবাদ আজকে নতুন না। পূর্বের কিতাবি কাফেররাও এরকম অপবাদ দিত। এজন্য আল্লাহ কোরআনে আয়াত নাযিল করেছিলেন - "আর সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করেছে। আর সুলাইমান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত জাদু এবং যা বাবিল শহরে হারূত-মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর নাযিল হয়েছিল......।" (বাকারা ১০২)
(এই আলোচনা আরও লম্বা করা যেত, কিন্তু আমজনতার বুঝার সহজার্থে সংক্ষেপ করা হল।)
.....
বাস্তব কথা হল -
১. আমভাবে বিশেষ স্বার্থ বা শয়তানি পরিকল্পনা ব্যতীত জিন কাউকে সাহায্য করে না। যদি এক-দুইটা এক্সেপশন থাকে, সেটার হিসেব ভিন্ন। এজন্য আমভাবে সবাইকে অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই, এই বিষয়ে দুর্বলতা দেখানো মোটেই উচিত না। (এখানে 'দ্বরর' এতই বেশি যে, সামান্য নফা'র সুযোগ নিতে গিয়ে ঈমান ঝুঁকিতে ফেলতে পরামর্শ দেয়া কোনো বুদ্ধিমান ফকিহের কাজ হতে পারে না।)
২. যদিও স্বেচ্ছায় কোনো জ্বিন আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য অফার করে, তবুও এথেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। বলা উচিত ‘তোমরা যা খুশি করো গিয়ে, আমার সাথে তোমাদের সম্পর্ক নেই, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। কারণ শয়তানরা এভাবে অনেক মানুষকে শুরুতে "ফ্রি চা" খাইয়ে তাদের ওপর নির্ভরশীল বানিয়ে নিয়েছে, এখন তারা জিনের সাহায্য নেয়ার জন্য সেই কাজগুলোই করে, যা গতানুগতিক তান্ত্রিকরা করে থাকে। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।
৩. অনেকে নাকি জিনের সাহায্য নেয় না, ফেরেশতার সাহায্য নেয়! এটা মিথ্যা কথা। ফেরেশতারা নিজ ইচ্ছায় কিছু করে না। যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। কিয়ামতের দ্বীন আল্লাহ ফেরেশতাদের বলবেন “এরা কি তোমাদের উপাসনা করতো?” ফেরেশতারা বলবে “না ইয়া রব! এরা জীনদের পূজা করতো, জিনদের কথাই বিশ্বাস করতো” (সুরা সাবা; ৪১)
👍 14
قَالُوا سُبْحَانَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِم ۖ بَلْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْجِنَّ ۖ أَكْثَرُهُم بِهِم مُّؤْمِنُونَ
৪. কবিরাজরা ভাবে তারা জিন-শয়তানকে অনুগত বানিয়ে কাজ করাচ্ছে, আসলে কখন সে নিজেই যে শয়তানের অনুগত হয়ে গেছে। অনেকে টেরও পায় না।
৫. আমাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হল, নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কিরাম এবং পুর্বসুরি ইমামদের পদ্ধতি। তারা ঝাড়ফুঁকের জন্য জ্বিনের সাহায্য চাইতেন নাকি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন?
তারা যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন, আমরাও তার কাছেই সাহায্য চাইবো।
❤ 36👍 8
জিন-শয়তান টাকাপয়সা চুরি করলে করণীয়!
----
[ক]
প্রথম কথা হল, জিনের সমস্যার জন্য বাড়ি থেকে টাকা কিংবা জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া কি সম্ভব?
উত্তর হচ্ছে – হ্যাঁ, সম্ভব। জিনরা কোনও হালকা বা ভারি জিনিস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে পারে, কিছু চুরি করতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বিশুদ্ধ হাদিসে এবং কোরআনেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
তবে কোনও কিছু হারালেই জিনের ঘাড়ে চাপানো উচিত হবে না। আগে ভালোভাবে চারপাশে খুঁজে দেখা দরকার, বাহ্যিক সতর্কতা বা নিরাপত্তা মজবুত করা দরকার। এরপরেও নিয়মিত হতে থাকলে তখন অন্য কিছু ভাবা যাবে।
আরেকটি বিষয় হলো, অনেকে টাকা পয়সা হারালে কিংবা কিছু চুরি হলে গণক-কবিরাজের কাছে যায়, গিয়ে জিজ্ঞেস করে জিনিসগুলো কোথায় আছে। এরকম কাজ কখনওই করা যাবে না। জাদু বা জ্যোতিষবিদ্যা চর্চারকারীদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানের ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে হাদিস খুব স্পষ্ট সতর্কবার্তা আছে।
[খ]
এধরনের ঘটনা কখন দেখা যায়?
১. কোনো বাড়িতে জিনের সমস্যা আছে, বিভিন্নভাবে বাড়ির বাসিন্দাদের বিরক্ত করে, সেখানে এরকম জিনিস হারিয়ে যাওয়া কিংবা এক জায়গার জিনিস অস্বাভাবিকভাবে অন্য জায়গায় দেখা যেতে পারে।
২. কারও অনেকদিন যাবত জিন-জাদুর সমস্যা আছে, জিনেরা যেভাবে পারে ক্ষতি করে। এরকম ক্ষেত্রেও কিছু চুরির ঘটনা হতে পারে।
৩. জাদু আক্রান্ত কারও কারও ব্যবহারের জিনিসপত্র জিনের দ্বারা চুরি করিয়ে সেটা দিয়ে শয়তান জাদুকর আবার ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে।
৪. ওপরের মত পুরাতন কোনো ঘটনার জের ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে জিনের মাধ্যমে এক-দুইটা চুরি হতে পারে। তবে এমনটা বিরল।
[গ]
আমাদের করণীয় কী?
১. সকাল-সন্ধ্যা ঘুমের আগের জিকির নিয়মিত করা। এতে কোনো অবহেলা না করা। বাড়িতে প্রবেশের ও বের হওয়ার দোয়া পড়া।
২. টাকাপয়সা বা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার সময় বিসমিল্লাহ বলে রাখা। বিসমিল্লাহ বলে ড্রয়ার বা আলমারি বন্ধ করা।
৩. ঘরে ছবি/তাবিজ/মুর্তি জাতীয় কিছু থাকলে সাফ করা। সন্দেহজনক কিছু পেলে জাদু নষ্টের নিয়মমাফিক নষ্ট করা। ঘরে ইসলামি পরিবেশ বজায় রাখা।
৪. “বাড়িতে জিনের সমস্যা থাকলে করণীয়” লেখার কাজগুলো একটা একটা করে করা। প্রতিটা ৩দিন করে করা যায়। চাইলে একসাথে একাধিকও করা যাবে।
৫. নিয়মিত জাকাত প্রদান করা। এবং যা কিছুই আয় হোক, এটা থেকে নিয়মিত বরকতের নিয়তে দান-সদকাহ করা।
৬. এছাড়াও নবিজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো কিছু হারিয়ে গেলে বা বিপদের সময় পড়ার দোয়াটি বেশি বেশি পড়া উচিত।
দোয়াটি হল- {إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ – اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَأَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِنْهَا}
(প্রয়োজনীয় লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মাঝে https://ruqyahbd.org/blog/7045/if-jinn-steals-money)
❤ 23👍 15
রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্সের ঘোষণা
-----
৬ষ্ঠ বারের মত ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা আয়োজন করছে "রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্স"। এখানে রুকইয়ার একদম বেসিক থেকে আলোচনা করা হবে। এই কোর্সে নারী-পুরুষ উভয়েই অংশ নিতে পারবে।
এই কোর্স সঠিকভাবে শেষ করলে ইনশাআল্লাহ আপনি নিজের ও পরিবারের জন্য রুকইয়াহ করতে প্রাথমিকভাবে যা যা জানা দরকার দরকার, এবং জিন-জাদু ইত্যাদির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে আপনার কী করণীয় এর সবই জানতে পারবেন।
পাশাপাশি জাদুটোনা আর জিনভুতের ব্যাপারে অহেতুক ভীতি দূর হবে। এসব বিষয়ে প্রচলিত ভুলত্রুটি ও কুফরি-কালামের ব্যাপারেও সতর্ক হতে পারবেন।
▪️লক্ষনীয়: সময় স্বল্পতার জন্য ক্লাসে কারও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে না।
✅ রেজিস্ট্রেশন করার আগে অনুগ্রহ করে পুরো লেখাটি ভালোমত পড়ে নিন। পোস্টের শেষে একটা লিংক আছে, সেখানে আরও বিস্তারিতভাবে সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ✅
📌 প্রাথমিক তথ্য-
🔹 কোর্স ডিউরেশন: দেড়-দুই মাস (৩রা মে থেকে ক্লাশ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)
🔹 মূল ক্লাস সপ্তাহে ২ দিন, প্রতি রবি ও মঙ্গলবার। (রাত ৯টা থেকে ১০:৩০)
▪️ ক্লাস সংক্রান্ত সকল তথ্য টেলিগ্রাম গ্রুপে পাওয়া যাবে। সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেয়া হবে।
▪️ কোর্সে দরস দিবেন: মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
▪️ ক্লাস জুমে হবে। এরপরে ক্লাসের রেকর্ড থাকবে।
🔹 রেজিষ্ট্রেশন শেষ: ২০ই এপ্রিল ২০২৪ইং।
🔹 নিবন্ধন ফি: ৳৪০০মাত্র (এককালীন)
রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যদের জন্য আরও ৫০৳ ছাড়, অর্থাৎ ৩৫০টাকা।
.
▪️কোর্স সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার জন্য থাকবে সার্টিফিকেটের সফটকপি। ১ম,২য়,৩য় স্থান অধিকারীদের জন্য থাকবে বিশেষ পুরস্কার।
------
📌 রেজিষ্ট্রেশনের নিয়ম,
🔹প্রথমে কোর্সের ফি পেমেন্ট করুন: https://iom.edu.bd/product/rqs_payment/
(৫০৳ ডিসকাউন্ট পেতে পেমেন্টের সময় RQSBD50 কুপনটি এপ্লাই করুন।)
🔹এরপর ট্রাঞ্জেকশন বা অর্ডার আইডিসহ রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরন করুন : https://tiny.cc/RQS2406_Form
▪️ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা চেক করুন এই লিংকে: https://tiny.cc/RQS_StudentList
▪️ফরম পুরন করার পর থেকে কোর্স শেষ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত আপনার ইমেইল চেক করুন। ইমেইলে ক্লাস ও ডিসকাশন গ্রুপের তথ্য জানানো হবে।
▪️ক্লাস শুরুর আগে আপনার রোল নাম্বার এবং ক্লাসের লিংক ঠিকভাবে পেয়েছেন কি না আরও একবার দেখে নিন।
▪️সময় সীমিত। তাই আগ্রহীরা দ্রুত রেজি: করে ফেলুন।
🔹 রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে হেল্পলাইন নাম্বারে 09638-113322 (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা) অথবা iom এর পেজে (fb.me/iomedu.org) মেসেজ দিয়ে কথা বলুন। 🔹
------
♻️ কোর্সের প্ল্যানঃ
সর্বমোট দরস - প্রায় ২০-২৫টি।
এই কোর্সে আলোচ্য বিষয়গুলো নিম্নরুপঃ
১. রুকইয়াহ শারইয়াহ:
* পরিচিতি, প্রয়োজনীয়তা
* রুকইয়াহ ও নিষিদ্ধ ঝাড়ফুকের পার্থক্য,
* রুকইয়ার আগে এবং পরে করণীয়,
* বাচ্চাদের রুকইয়াহ কিভাবে করবেন ,
* আমভাবে যেকোনো রোগের রুকইয়ার নিয়ম।
২. জিন এবং মানুষের বদনজর, ওয়াসওয়াসা রোগ, জিনের আসর, জাদুটোনা:
* এসব সমস্যার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি,
* এসব নিরাপদ থাকার উপায়,
* লক্ষণীয় উপসর্গের বিবরণ, রোগ নির্ণয় পদ্ধতি,
* চিকিৎসা : সেলফ রুকইয়াহ এবং অন্যের জন্য রুকইয়াহ করার নিয়ম।
৩. শারীরিক ও মানসিক রোগব্যাধির জন্য রুকইয়াহঃ
* কিছু কমন সমস্যার চিকিৎসা,
* প্যারানরমাল সমস্যা এবং সাধারণ রোগব্যাধির পার্থক্য।
৪. পরিশিষ্ট :
* কয়েকটি বিস্তারিত রুটিন ও পরামর্শ
* জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলোয় করণীয়,
* বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও আলাপ।
▪️নোট: এটা রাক্বী ট্রেইনিং কোর্স না। নিজের ও পরিবারের জন্য রুকইয়াহ শেখার কোর্স। তবে কেউ রাক্বি হতে চাইলে তার জন্যও এই কোর্সের দরসগুলো উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।
📌
কোর্সের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে এই লেখাটি পড়ুন— আইওএম এর রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্সে কী কী থাকে? : https://thealmahmud.blogspot.com/2023/05/about-ruqyah-course.html
📌
এরপরও কোর্সের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে বা কিছু অস্পষ্ট থাকলে IOM এর হেল্পলাইন 09638-113322 এ কল করতে পারেন (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা)। তবে হেল্পলাইনে রুকইয়াহ বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন না।
-----
আল্লাহ যেন কোর্সটি আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর করেন। আমিন।
(চাইলে লেখাটি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।)
👍 25❤ 10
সুদের ছড়াছড়ি ও সমাজে প্রচলিত সুদের বিভিন্ন রূপ!
আমরা অনেকেই সুদ বলতে কেবল ব্যাংকের মুনাফাকেই বুঝি। অথচ সমাজে সুদের অনেকগুলো খাত আছে। আছে নানান ধরণ। যা হয়তো আমরা ভালোমতো জানি না। এমন কিছু খাত ও ধরণ হলো :-
১. সুদি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মুনাফা : সুদি ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্ট ছাড়া সকল প্রকার একাউন্ট সুদি একাউন্ট। অতএব, সুদি ব্যাংকের সেভিং একাউন্টসহ সকল ধরনের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সুদের আওতাভুক্ত।
২. ডি. পি. এস/ DPS (ডিপোজিট পেনশন স্কীম) : এটি সম্পূর্ণ সুদি একাউন্ট। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট এমাউন্ট ডিপোজিট করা হয়। যে টাকা জমা হয়, তার ভিত্তিতে সুদ প্রদান করা হয়।
৩. ঋণভিত্তিক সুদ : গ্রামের মহাজনরা সুদের ভিত্তিতে মানুষকে লোন দিয়ে থাকে। জুয়েলারী দোকানে স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদের ওপর লোন প্রদান করা হয়। ব্রাক, আশা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানও সুদের ভিত্তিতে মানুষকে লোন দিয়ে থাকে।
৪. ব্যাংক লোন : সুদি ব্যাংকের যেকোনো লোনই সুদি লোন। যেমন কার লোন, হোম লোন, হাউজ লোন, ইনভেস্টমেন্ট লোন, সিসি লোন, কৃষি লোন ইত্যাদি।
৫. লটারী : রেডক্রিসেন্ট বা এজাতীয় সরকার অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠান দশ টাকা বিশ টাকা মূল্যের লটারী টিকেট ছাড়ে। এক লক্ষ, দুই লক্ষ টাকা, গাড়ি, মোটর সাইকেল ইত্যাদি পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এটা প্রথমত জুয়া, পাশাপাশি সুদও।
৬. বন্ধকী জমি ভোগ করা : বাংলাদেশের প্রায় সকল এলাকায় বহুল প্রচলিত লেনদেন হলো জমি বন্ধক রীতি। জমির মালিক একটা মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে তার জমি বন্ধক রাখে। ঋণদাতা/বন্ধকগ্রহীতা জমিটি ভোগ করে এবং মেয়াদান্তে মালিক টাকাটা ফেরত দিয়ে জমিটি বুঝে নেয়। এক্ষেত্রে ঋণদাতার জন্য বন্ধকী জমি ভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
৭. বন্ধকী বাড়ি/ফ্ল্যাট ভোগ করা : জমি বন্ধকের মতো করে শহরে বাড়ি/ফ্ল্যাট বন্ধকের প্রথা চালু হয়েছে। পদ্ধতি হলো, বাড়িওয়ালা নিজ প্রয়োজনে ৫ বা ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। বিনিময়ে পাঁচ বছর বা দশ বছর ঋণদাতাকে তার ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগ দেয়। পরবর্তী সময়ে যখন ঋণ পরিশোধ করে দেয়, তখন এই চুক্তি সমাপ্ত হয়। এক্ষেত্রে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগটি সুদ হবে।
৮. কিস্তিতে সুদ : বাজারে বিভিন্ন পণ্য কিস্তিতে বিক্রি করা হয়। কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে নির্ধারিত হারে অতিরিক্ত প্রদানের শর্ত করা হয়। এই অতিরিক্ত টাকাটাও সুদ।
.
আলোচনাটি ফরজে আইন কোর্স থেকে নেওয়া।
- -----
আবুল হাসানাত কাসিম
👍 29❤ 3
রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ঈদ মুবারাক।
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম সালিহাল আ'মাল।
❤ 29👍 3
রমাদান মাস থেকেই সবরকম হারাম আয় #বয়কট করুন। সুদী ব্যাংকে একাউন্ট, সুদী ক্রেডিট কার্ড, সুদী ফিক্সড ডিপোজিট, সুদী ইন্সুরেন্স, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, সুদী সমিতি, বোন-ফুফুর ভাগ না দেয়া সম্পদ, দুর্নীতির সম্পদ, ঘুষ, চাকুরী বা ব্যবসায় মিথ্যা ও প্রতারণা - ইত্যাদি সকল হারাম আয় বয়কট করুন, আজীবনের জন্য।
হালাল আয় করুন, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে প্রশান্তি দিবেন, এবং দুয়া ও ইবাদত কবুল করবেন ইনশা'আল্লাহ।
#বয়কট_হারাম
----
© মুফতি Yusuf Sultan হাফি.
❤ 52👍 16
সিয়াম পালনকারীর পুরস্কার মহান রব্বুল 'আলামীন নিজ হাতে দিবেন। আমরা জানি রমাদানে সকল নেক আমলকে ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বা আল্লাহর ইচ্ছা হলে তার চেয়েও অধিক করা হয়। কিন্তু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো সিয়ামের কোনো নেকি ১০/৭০/৭০০ দিয়ে বলা হয়নি। অর্থাৎ সলাত বা সদাকার মতো নেকি বা হাসানার সংখ্যা বসানো হয়না সিয়ামের বেলায়।
বিষয়টা আরো সহজ করে বলি। বছরের অন্যান্য সময়ে এক একটা নেক আমলে হয় ১০ নেকি। রমাদানে তা ৭০ থেকে ৭০০ বা তারচেয়েও বেশি গুণ হয়। কিন্তু সিয়ামের বেলায় এরকম হয়না যে ১ সিয়াম = ১০ নেকি, বা ৭০ অথবা ৭০০ নেকি। সিয়ামের পুরস্কার হলো জান্নাত।
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ্ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেন।”
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।
.
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা রোজাদার ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে নতুনভাবে সজ্জিত করেন।
তিনি জান্নাতকে ডেকে বলেন, হে জান্নাত, তুমি নিজেকে সুসজ্জিত করো, সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলো; শিগগিরই আমার বান্দা তার দুনিয়াবি জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ছুঁড়ে ফেলে তোমার এখানে প্রবেশ করবে।
~মুসনাদে আহমাদ
---
© Mahmudur Rahman vai
❤ 46👍 3
Choose a Different Plan
Your current plan allows analytics for only 5 channels. To get more, please choose a different plan.