24 922
Subscribers
+32024 hours
+4207 days
+1 24230 days
- Subscribers
- Post coverage
- ER - engagement ratio
Data loading in progress...
Subscriber growth rate
Data loading in progress...
ঢাবিতে একটা নিরাপরাধ মানুষকে সুন্দরভাবে ভাত খাইয়ে তারপর ঠান্ডা মাথায় পি‧টিয়ে খু⁻ন করা হলো। নিহত হবার আগে লোকটার ভাত খাওয়ার ছবি সকালে দেখার পর থেকেই মন বিষণ্ন হয়ে আছে। মানুষ ক্যামনে পারে এসব করতে? সব ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে জোরালভাবে কথা বলতে হবে। চাই সেটা সেনাবাহিনীর হাতেই ঘটুক বা সাধারণ কারো হাতে। আইন-শৃঙ্খলার ক্রমাবনতি আমাদের সবার জন্যই বিপদজনক।
👍 82😢 69🤝 1
Show all...
সেক্যুলার কাঠামোয় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা- পদ্ধতি ও রূপরেখাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ
সেক্যুলার কাঠামোয় ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা- পদ্ধতি ও রূপরেখাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ #themuslimminds #muslimminds
❤ 29👍 3
থাকতেন। ফলে তাকে জারুল্লাহ উপাধীতে ভূষিত করা হয়। এতকিছুর পরেও তিনি অনুসরণীয় নন।
তাই সবসময় একজন মানুষের শুধু ব্যক্তিগত ইলম, আমল ও পরহেযগারিতা দিয়ে অনুসরণীয় হওয়া বা না হওয়া নির্ণীত করা সঠিক নয়। বরং তার কাজকর্ম ও চিন্তাধারা উম্মতের জন্য কল্যাণ হচ্ছে না ক্ষতির কারণ হচ্ছে সেটাও বিবেবনায় রাখতে হয়। এই জায়গা থেকেই আমরা ফরীদ সাহেবের ব্যাপারে প্রয়োজন হলে বলি-লিখি।
হঠাৎ করে এখন ৩/৪টা লেখা তাকে নিয়ে লেখার কারণ হলো, ফয়জুল করিম পীর সাহেব চরমোনাই তাকে নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তারা উভয়ে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ বিধায় হয়ত ফয়জুল করীম সাহেবের একটা দায়বদ্ধতা আছে এবং সেজন্যই তিনি কথাগুলো বলেছেন। তিনি একটা দলের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি এবং সেই দলের লোকজন তার কথা ও অবস্থানকে অনুসরণযোগ্য মনে করেন। ফরীদ সাহেবের ব্যাপারে তার এই অবস্থানের দ্বারা তারাও প্রভাবিত হবে এবং ফরীদ সাহেবকে অনুসরণীয় বিরাট ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরে নিবে। তাই অতীতের বিষয়গুলো আবার সামনে আনতে হয়েছে। যেন কেউ ধোঁকা না খায়। অন্যথায় এই মুহুর্তে ফরীদ সাহেবকে নিয়ে শত শত শব্দ খরচ করার কোন প্রয়োজনই ছিল না।
শুনেছি তিনি অসুস্থ। দুআ করি দ্রুত সুস্হ হোন। আল্লাহ তাআলার সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি তার ব্যক্তিগত আমলের ভাল-মন্দ প্রতিদান পাবেন। এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু নিজ কওমের সাথে তার যে কর্মপন্থা, এর ভিত্তিতেই তিনি অন্যদের জন্য অনুসরণীয় হবেন কিনা নির্ণীত হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবার ভুল-ত্রুটি মাফ করুন। আমীন।
❤ 56👍 22💯 4
ফরিদ উদ্দীন মাসুদ সাহেবের বিরল গুণ হলো, তিনি পল্টিবাজ, চাটুকার ও তেলবাজ নন। তার অবস্থান নন্দিত বা নিন্দিত যাই হোক না কেন, তিনি একমুখী স্রোতে চলেন সবসময়। এই গুণটা অন্য অনেক আলেমের মধ্যে দেখা যায় না। শুকরানা মাহফিলসহ আরো কোন কোন প্রোগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে অন্য অনেকেই যেখানে আত্মহারা হয়ে তেলবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন, বাড়তি শব্দ/বাক্যের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন, সেখানে তিনি বাড়তি কোন তেলবাজি না করেই সাধারণভাবে এবং শব্দ মেপে মেপে দরকারী কথাগুলো বলেছেন। এটা তার ব্যক্তিত্বের প্রশংসনীয় দিক।
ইলমীভাবেও তিনি যোগ্য। দেওবন্দে তার অধ্যয়ন স্পৃহার গল্প অনেকের জন্য ছিল অনুপ্রেরণার। উস্তাদ জীবনে অনেক সাগদের গড়েছেন। নিজের ফিকিরগুলো তাদের মধ্যে গেঁথে দিতে পেরেছেন। যেটা সবাই পারে না। ব্যক্তিগতভাবে আমল করেন অনেক। এগুলো সবই তার প্রশংসনীয় দিক। মূলত তার ব্যক্তিত্বের এই দিকগুলোর কারণেই তার সাগরেদদের অনেকে তার অন্ধভক্ত। এটা হলো মুদ্রার এক পিঠ।
আমরা যদি মুদ্রার অপরপিঠে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, তিনি সবসময় নিজেকে অন্যদের বিপরীতে দেখতে পছন্দ করেন। এটা হতে পারে, অন্যদের থেকে নিজেকে অনন্য ভাবার বা দেখানোর কোন প্রচেষ্টা কিংবা তার স্বভাব-প্রকৃতিই এমন। এটার প্রমাণ পাওয়া যায় 'দশ লেখক দশ জীবন' বইতে উপস্থাপিত তার সাক্ষাতকারটি। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনাকে নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কগুলোকে কীভাবে দেখেন? তিনি উত্তর দিলেন- 'উপভোগ করি। দারুণভাবে উপভোগ করি। এবং মনে চায় আরো বিতর্ক তৈরি করি। যেমন গেলাম শাহবাগে। এর দ্বারা সুন্দর বিতর্ক তৈরি হলো। আমাকে কাফের পর্যন্ত বলা হলো। খুব উপভোগ করলাম।' (পৃষ্ঠা: ১০২) এই কথাগুলো থেকে তার মনোজগতের অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়।
তাছাড়া তিনি জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্বের ঘোর বিরোধী। ভারত বিভিক্ত হয়ে পাকিস্তান হওয়াকে তিনি কখনোই মেনে নেননি। পাকিস্তান, পাকিস্তানের আলেম ও সেখানে পড়াশুনা করে এদেশের আলেমদের প্রতিও তার এলার্জি আছে। এটা তার কোন কোন সাগরেদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়ে পরবর্তীতে।
বিষয় যেটাই হোক না কেন, তার এই বিতর্কিত হবার প্রবণতা তাকে নিজ কওমের কাছে ধিকৃত করেছে। কেননা তার পদক্ষেপগুলো এমন ছিল, যা সর্বদা বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠী, বিশেষত আলেম-তালেবদের স্বার্থ পরিপন্থী ও তাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল। এর মধ্যে আলোচিত ৩টি বিষয় হলো-
ক. ১৩ সালে শাহবাগ-শাপলা দ্বন্দ্বে শাহবাগের পক্ষ নেওয়া
খ. এদেশের প্রায় সকল আলেমের অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে সাদপন্থীদের পক্ষ নেওয়া
গ. ১ লক্ষ আলেমের সাক্ষর সম্বলিত তথাকথিত জঙ্গিবাদ বিরোধী শান্তির ফতোয়ার ফেরি করা। যেখানে পিচ্চি পিচ্চি পোলাপানেরও সাক্ষর আছে।
তার প্রসঙ্গ এলেই অনেকে বলেন, তার উপর জামাত-শিবিরের অতীত জুলুমের কারণের দিকে তাকাতে। প্রথমত জামাত-শিবির তার উপর বাড়তি ক্ষ্যাপা ছিল কেন? শুধু যে তিনি একাই তাদের নিয়ে কথা বলতেন এমন তো নয়। আরো অনেকেই বলতেন। তবে তারটা সীমালঙ্ঘন হয়ে যেত। যার কিছু রূপ শাহবাগের সময়টাতে দেখা গেছে। দ্বিতীয়ত জামাত-শিবিরের কারণকে যদি বাদও দেই, ১ লক্ষ আলেমের ফতোয়াকে কোন দৃষ্টিতে দেখা হবে? এর সাথে তো জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততা নেই। এমনিভাবে আলেমদের বিপক্ষে গিয়ে সাদপন্থীদের শেলটার দেওয়ার সাথেও তো জামাত-শিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব, আবু তাহের মেসবাহ সাহবদের নোংরাভাবে আক্রমণ করার সাথেও তো জামাত-শিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। তো মূল বিষয় হলো, তার সবার থেকে আলাদা হয়ে চলার নীতি এবং যারা তার নীতির বিরোধীতা করে তাদের উপর খড়গহস্ত হবার প্রবণতাই এখানে দায়ী।
তারপর সবসময় দেখবেন তার ও তার কিছু সাগরেদের অবস্থান ও বক্তব্য-লেখনী সর্বদা ইসলাম বিদ্বেষীদের রসদ যোগায়। এমনকি যদি তারা সত্য কিছু বলে, তবুও। টকশোতে, পত্রিকার কলামে, সেমিনারে আমরা দেখেছি তিনি ও তার কতিপয় সাগরেদরা এদেশের চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছে বেশ বরিত ও সমাদৃত। অথচ তারা হকের উপর থাকলে সেইসব চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর কাছে কখনোই বরিত ও প্রিয়পাত্র হতে পারতেন না। মূলত তারা সেসব কথাই বলেন ও লেখেন, যা ওইসব সেক্যুলাররা শুনতে চায়। যদিও সেসব কথার একশন এদেশের আলেম-উলামা, মসজিদ-মাদরাসা ও ইসলামের চেতনার বিপক্ষে যাক না কেন।
ফরিদ সাহেবের চিন্তাধারা ও কর্মের বিরোধিতা করলে অনেকে তার ব্যক্তিগত আমল-পরহেযগারিতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। অথচ দুইটা টোটালি আলাদা জিনিস। আমাদের আকাবির-আসলাফগণ শিখিয়েছেন, যাদের চিন্তাধারা ও কর্মপন্থা পরিত্যাজ্য, তারা ব্যক্তিগতভাবে যতোই ইলমদার-আমলদার হোক কিংবা 'কলমের রাজা' হোক, তারা অনুসরণীয় নন। তার ভাল জিনিসগুলো থেকে টুকটাক ফায়দা নেওয়া যেতে পারে, তবে তাকে বরিতের আসনে বসানো যাবে না। এর সবচে বড় উদাহরণ হলো বিখ্যাত মুতাজিলা আলেম আল্লামা জারুল্লাহ যমখশারী। তিনি কতবড় ইলমদার ছিলেন তার প্রমাণ তাফসীরে কাশশাফ। আর কতবড় আমলদার ছিলেন তার প্রমাণ 'জারুল্লাহ' উপাধীটি। এর অর্থ আল্লাহর প্রতিবেশী। অর্থাৎ তিনি সর্বদা কাবার পাশেই অবস্থান করতেন এবং ইবাদতে নিমগ্ন
❤ 36👍 18🔥 2
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ সাহেবের বিতর্কিত কর্ম-তালিকার অন্যতম হলো এক লক্ষ (কথিত) মুফতির সাক্ষর সম্বলিত জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতোয়া। এই ফতোয়াকে আওয়ামী সরকার, জাতিসংঘ, আমেরিকান সরকার সবাই লুফে নিয়েছিল। আমেরিকান সরকার তাকে দাওয়াত করে নিয়েছিল ফতোয়াটির উপলক্ষে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বড়সড় ফান্ডিং আসে বিদেশ থেকে। সেই ফান্ডিংকে হালাল করতে এবং তারা যে অলস বসে নেই বরং এক্টিভ আছে সেটা দেখানোর জন্য প্রায়শই নিরপরাধ তরুন/যুবকদের কোথাও থেকে তুলে নিয়ে গুম করে রেখে তারপর একদিন সুবিধামত জায়গায় জঙ্গি ধরার নাটক সাজায়। এদেশের বহু যুবক তাদের নাটকের ভিক্টিম। সিসিটিসির এসব অন্যায়ের পথকে সুগম করতে ও সেসব নিরপরাধ লোকদের ওপর জুলুমের রাস্তাকে মৃসণ করতে এই ফতোয়ার অপরিসীম ভূমিকা আছে।
এদেশের লীগ সরকার ও আমেরিকা/জাতিসংঘ জঙ্গিবাদ বলতে কী বুঝায় এটা সবারই জানা। ফলে ফরিদ সাহেবের ওই ফতোয়ায় এদেশের প্রখ্যাত দারুল ইফতাগুলো ও মুফতিগণ সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন। এক লক্ষ সাক্ষর গ্রহণের জন্য অ-মুফতিদেরও প্রচুর সাক্ষর গ্রহণ করা হয়। এমনকি যারা এখনও দাওরাও শেষ করেনি, তাদেরও অনেকের সাক্ষর আছে এতে। (এই লেখার কমেন্টে যাদের এসব বিষয়ে জানা আছে বা চাক্ষুষ দেখেছেন তারা বলতে পারেন।)
মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবকে এদেশের অন্যতম প্রধান মুফতি ও আলেম মনে করা হয়। তার ইলমী খেদমতের বদৌলতে এদেশে ইলমে হাদীস চর্চায় ও তাহকীকের ময়দানে নতুনভাবে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। তিনি ও তাদের প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্দাওয়াহ এই ফতোয়ায় সাক্ষর করেননি। বরং বিরোধিতা করেছেন।
এছাড়াও ফরিদ সাহেবের পোপের সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নিয়ে মুনাজাত করা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জিহাদ বিষয়ক কিছু বক্তব্যের সাথেও তিনি জোরাল দ্বিমত করে নানান সময় অনেক কথা বলেছেন।
ফলে ফরিদ সাহেবের একটা ক্ষোভ ছিল তার উপর। তাছাড়া আবদুল মালেক সাহেব পাকিস্তান পড়াশুনা করেছেন। এটাও তাকে অপছন্দের একটা কারণ হতে পারে। কেননা ফরিদ সাহেবের সম্পাদিক মাসিক পাথেয় পত্রিকাতে একাধিক লেখাতে ইনিয়ে-বিনিয়ে এমনটাই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে, যারা পাকিস্তানে পড়েছে তাদের সমস্যা আছে। সর্বশেষ তাবলীগ জামাতের সাদ সাহেবের বিপক্ষে আবদুল মালেক সাহেবের সুদৃঢ় অবস্থান ফরিদ সাহেবকে আরো খেপিয়ে তোলে। ১০২৮ সালে এটি তুঙ্গে উঠে এবং এক মজলিসে তিনি ভরপুর লোকদের সামনে প্রকাশ্যে বলেন, 'এই আবদুল মালেক তার উস্তাদকে মানে না, সে আবার মুফতি কবে থেকে হল? উস্তাদকে মানে না, বেআদ্দপ! ওরে আমি আমার সমালোচনারও যোগ্য মনে করি না।' সেই আলোচনাতে তিনি এটাও বলেন যে, আবদুল মালেক সাহেব সঠিকভাবে আরবীভাষাটাও জানেন না!
ফরিদ সাহেবের এই ক্ষোভের ঢেউ তার অনেক ছাত্রদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। তারা বিভিন্ন সময় অত্যন্ত বাজেভাবে তাকে আক্রমণ করে করে কথা বলেছেন।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফরীদ সাহেব জামাআতের প্রতিষ্ঠানা আবুল আলা মওদুদির ভুল-ত্রুটি নিয়ে সর্বদা সোচ্চার হলেও সাদ সাহেবের ক্ষেত্রে তার অবস্থান পুরোই বিপরীত। তার সাগরেদরা তাকে বাংলাদেশে দেওবন্দি চিন্তার বাহক হিসেবে প্রচার করে থাকে। অথচ দেওবন্দ সাদ সাহেবের নানান গোমরাহির কারণে তাকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে ফতোয়া দিলেও ফরীদ সাহেব তাকে বুকে টেনে নিতে উদগ্রীব। এমন বৈপরিত্য খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার।
যখন বাংলাদেশের অধিকাংশ আলেম সাদ সাহেব ও ইতাআতিদের ইস্যুতে একমত, সেখানে তিনি সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও সবার বিপক্ষে গিয়ে একাই সাদপন্থীদের পরামর্শক ও তাদের শেল্টারদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। যাদের হাত আলেম-তালেবদের রক্তে রঞ্জিত, তাদেরকে পুনর্বাসন করা ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজের সম্পাদিত পত্রিকা পাথেয় এবং নিজের প্রতিষ্ঠান জামিআ ইকরাকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করেন। টঙ্গিতে ছাত্ররা যেদিন সাদপন্থীদের হাতে রক্তাক্ত হয়, সেদিন রাতে সাদপন্থীরা অবস্থান করেছিল ফরিদ সাহেবের জামিআ ইকরাতে। পরে ভোর রাতে সেখান থেকে বাস বোঝাই করে তারা টঙ্গী ইজতেমা মাঠ দখল করতে রওনা হয় এবং সেই দুঃখজনক রক্তাক্ত ঘটনাটি ঘটে। যেই ঘটনার দুঃসহ ক্ষত এখনো বহু তালিবুল ইলম বহন করে চলেছেন নিজেদের শরীরে।
নিজ কওমের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ও 'অবদান' এর তালিকা বেশ লম্বা। আমরা এগুলো ভুলতে চাই না। এসব তথ্য ক্ষণে ক্ষণে কচলাতেও চাই না। তবে এই সময়ের অনেক নওজোয়ান এসব অতীত অতোটা ভালো করে জানে না বা বিস্মৃত হয়ে গেছে। তারা যেন কারো কথায় ধোঁকাগ্রস্ত না হয় সেজন্য শুধু স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
(পরের স্ট্যাটাসে ফরীদ সাহেবের ব্যাপারে একটা সামগ্রিক মূল্যায়ন করব। এবং এই প্রসঙ্গে সেটাই হবে শেষ লেখা।)
❤ 74👍 30🔥 3😁 2👏 1
'কালো কালির ফেরিওয়ালা' রচনাটির পিডিএফ
কালো_কালির_ফেরিওয়ালা_.pdf1.67 MB
👍 18❤ 9😢 5🤣 1
ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেবের শাহবাগে আগমন এবং শাহবাগীদের ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ হবার পরেও হেফাজতের বিপক্ষে অবস্থান সবাইকে ব্যাথিত করেছিল। তার শিষ্যদের মধ্যে যারা আকলে সালীমের অন্তর্ভুক্ত তারাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। এই সময়ের প্রখ্যাত শিক্ষা-গবেষক এবং মাদানী নেসাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আরবীভাষা শিক্ষাদানের বিখ্যাত কিতাব 'এসো আরবী শিখি' এর লেখক আবু তাহের মেসবাহ সাহেব (আদিব হুজুর) তাদের একজন। তিনি তার সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকা পুষ্পের সংকলনের ভূমিকাতে নিজের মনের দুঃখ-ব্যাথা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে অশালীন কোন শব্দ ছিল না। তিনি আশা করেছিলেন, ফরিদ সাহেবের মতো একজন ধীমান লেখক ১৩ সালের ক্রান্তিলগ্নে নবীপ্রেমী মুসলিম জনতার কাতারে থাকবেন। তার কলম গর্জে উঠবে। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখে তিনি নাম না নিয়েই আফসোস করে লিখেছেন-
'একজন সম্পর্কে কিছুটা শ্রদ্ধা ছিল এবং প্রত্যাশা ছিল। প্রয়োজনের সময় তার কলমের কালি খুনের রং ধারণ করতে পারে; কিন্তু কালো রংটাও বাকি থাকল না, সাদা হয়ে গেল। বিলকূল সাদা।'
এই লেখাটা তার অন্ধভক্তদের কলিজায় গিয়ে আঘাত করে। এদের মধ্যে একজন হলেন ফরিদ সাহেবের মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস রুহুল আমীন সিরাজী। তিনি ফরিদ সাহেবের সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা 'পাথেয়' তে এই প্রসঙ্গে একটা রচনা লেখেন। সেখানে আবু তাহের মেসবাহ সাহেবকে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় যাচ্ছেতাই বলে আক্রমণ করেন। পুরো লেখাতে তিনি তাকে বারবার তাচ্ছিল্য ও ব্যঙ্গ করে সম্বোধন করেন 'পুষ্প সিংহ' নামে।
আমি তার জঘন্য কথাবার্তার চুম্বকাংশ তুলে ধরছি-
'"এসো আরবী শিখি' কিতাব-এর সুপরিচিত লিখক রাতের অন্ধকারে চুরির মতো বাংলাবাজারের সস্তা নোট-বানিজ্য করেন তা বুঝতে পেরে সেদিন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। লজ্জার সাথে ঘৃণাও জন্মেছিল।"
আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের উপর তিনি ছিলেন খুবই খ্যাপা। কারণ মাহমুদুর রহমানের সাহসী ভূমিকার কারণেই শাহবাগ শেষ পর্যন্ত পরাভূত হয়। শাহবাগের ফ্যাসিবাদী ও ধর্মবিদ্বেষী পরিচয় তিনিই জাতির সামনে জাতীয়ভাবে তুলে ধরেন প্রথমে। যার কারণে দেশব্যাপী শাহবাগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক আসে। যারা বলছেন, ফরীদ সাহেব আগে জানতেন না শাহবাগের মূলচরিত্রের কথা, তারা বিষয়টা আবার ভাবতে পারেন। শাহবাগের প্রকৃত পরিচয় সামনে আসার পরেও কি তিনি শাহবাগের সাথে বারাআত করেছিলেন? করেননি। এটা বুঝা যায় এভাবে, যারা শাহবাগের এই ধর্মবিদ্বেষী চরিত্রকে উদ্ঘাটন করে সবার সামনে প্রকাশ করেছিল, তাদের প্রতি ফরিদ সাহেবরা চরম আকারের ক্ষোভ পোষণ করেন; অথচ পাথেয় পত্রিকাতে শাহবাগের এই ধর্মবিদ্বেষী চরিত্রের সমালোচনা করে আজও কোন লেখা প্রকাশিত হয়েছে বলে দেখিনি।
মাহমুদুর রহমানের প্রশংসা করাতে সিরাজী সাহেব খুব খেপেছেন। তিনি লিখেছেন, "...মাহমুদুর রহমানের জানি দোস্ত 'এসো কলম মেরামত করি' বইয়ের আঁধারচারী অন্ধ লেখকের কর্মকন্ড সম্পর্কে। খোঁজে পেতাম না পুষ্প সিংয়ের মতো বিকৃত মানসিকতার অধিকারী একজন পরিণামহীন গল্পকারকে।"
এছাড়াও মিসবাহ সাহেবের ব্যাপারে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন লেখাটিতে তা হলো- "তার মতিভ্রম হয়েছে। মানসিক বৈকল্যে পেয়েছে। তিনি তোষামদ-বানিজ্য করেছেন। পুষ্পের সমাহারে বিকৃত শব্দ চয়ন করেছেন। নির্লজ্জ, চরিত্রহীন।"
তিনি একটা ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ছাত্ররা নাকি এসো আরবি শিখি কিতাবের ক্লাস করতে চাইত না। কারণ এই কিতাব তারা বুঝে না। না বুঝে অযথা ক্লাসে বসে সময় নষ্ট করবে কেন? তাই আবদুন নুর নামে তার এক সতীর্থ নাকি বলেছিল, চলো আমরা সকলে এসো আরবী শিখি কিতাবের লিখককে অনুরোধ করি- আপনি আপনার কিতাবের নাম পাল্টে এটা রাখতে পারেন- এসো সময় নষ্ট করি। তবেই কিতাবের নামকরণ যথাযথ হবে।
এছাড়া এসো আরবি শিখি, এসো নাহব শিখি, এসো সরফ শিখি এগুলোকে বলেছেন আত্মঘাতী পুস্তক।
এগুলোর বাইরেও উল্লেখ করার মতো আরো অনেকগুলো কথা আছে তার সেই কুখ্যাত রচনাতে। আমি লেখাটা লম্বা করতে চাচ্ছি না। সেই রচনার পিডিএফটা আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দিয়ে দিব। চাইলে সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।
আবু তাহের মেসবাহ সাহেব কতটা সজ্জন মানুষ সবাই জানেন। নীরবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে। কওমী অঙ্গণে শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তাঁর হাত ধরে এদেশের তালিবুল ইলমরা আরবীভাষার জগতে চমৎকারভাবে প্রবেশ করছে। অথচ ফরীদ সাহেবের ১৩ সালের ভূমিকা নিয়ে তিনি মনের কষ্ট ব্যক্ত করে কয়েকটি কথা বলায় তাকে কীভাবে আক্রমণ করা হয়েছে সেটা তো দেখলেনই। কোন সভ্য পত্রিকাতে এই ধরনের খিস্তিখেউড় সম্বলিত লেখা ছাপা হতে পারে না।
👍 70❤ 27😢 14💯 3
Photo unavailableShow in Telegram
আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু আমরা করে যাচ্ছি। আজকে ইসলামী আন্দোলনের মুহতারাম নায়েবে আমীর ফয়জুল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর সাথেও প্রকাশকদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেছে। আমি সমন্বয়ক হিসেবে তাদের সাথে ছিলাম। ইসলামী বইমেলার সংস্কার নিয়ে মুহতারামের সাথে আলাপচারিতা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তিনি সুন্দর একটি বইমেলা আয়োজনে আমাদেরকে সহায়তা করবেন ইনশাআল্লাহ। সবাই বেশি করে দুআ করুন। এবার যদি আমরা পরিবর্তনটুকু ঘটাতে না পারি, পরবর্তীতে আর এর আশা করা যায় না।
❤ 170👍 29🔥 3😁 3
Photo unavailableShow in Telegram
মুন্সিগঞ্জ সরকারি গরাগঙ্গা কলেজে আছি। আমার আলোচনার বিষয় হলো- অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে নববি আদর্শে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতা।
❤ 136👍 18🔥 7⚡ 3
১০:৩০ এ আমি লাইভে আসব আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ইনশাআল্লাহ। ইফা ও বইমেলার সংস্কার নিয়ে আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে কিছু কথা খোলাসা করব। টেলিতেও লাইভ দেবার চেষ্টা করব। সাথেই থাকবেন আশা করছি।
❤ 33👍 4
Choose a Different Plan
Your current plan allows analytics for only 5 channels. To get more, please choose a different plan.