😊😊Laugh of Muslim 😊😊

ইসলাম একটা না। অনেকগুলো। তাই যেই ছেলেটা শহুরে পশ জীবনে বড় হয়েছে, গ্রাম্য হুজুর দিয়ে সাধারণত তাকে ইসলামে টানা যায় না৷ দেশের বা বিদেশের এমন সব স্কলারের লেকচারই তাকে টানে, যেগুলো তার রুচি-অভিরুচিকে ঠিকমতো অ্যাড্রেস করে। যাদের পোশাক-আশাক, সংস্কৃতি, চালচলন তাকে আকৃষ্ট করে। সুপ্রশস্ত, টাইলস করা এসি মসজিদ তার ভালো লাগে। ইসলামের শান-শওকত তাকে টানে৷ অ্যাট্রাক্টিভ উইমেনদের দেখে মেনদের যে স্যালিভা সেক্রেশান বেড়ে যায়, এটা সে পিয়ার রিভিউড জার্নাল আর্টিকেল থেকে জানতে ভালোবাসে। আর যেই লোকটার বেড়ে ওঠা মাটিঘেঁষা গ্রামে, সে মাটির গন্ধযুক্ত আঞ্চলিক ভাষায়, সুর করে ইসলামের কথা শুনতে ভালোবাসে। সাধারণ পাঞ্জাবি লুঙ্গি পরা হুজুরদের কাছে গিয়ে কথা শুনতে চায়৷ মাটির মসজিদের জানালা দিয়ে খোলা মাঠের বাতাস খেতে খেতে নামাজ পড়ে। মহিলাদের দেখলে যে তেঁতুল তেঁতুল লাগে, পুরুষদের অন্তরে লালা ঝরে, এই কথা সে মাহফিলে শুনে মূল সারকথাটা ধরতে পারে ও নিজ অভিজ্ঞতার কারণে একমতও হয়। নরম-কোমল মেয়েটা হয়তো ইসলামের কোমলতার কাহিনি শুনে আকৃষ্ট হয়। কাফের আর্মি জেনারেলটা হয়তো আবার মুসলিম মুজাহিদদের তেজ দেখে ইসলামে আকৃষ্ট হয়। আবার উলটাটাও হতে পারে। ভোগবিলাসে অভ্যস্ত একটা পেটুক হয়তো ইসলামের এক মাস রোজা রাখার বিধান শুনে আচমকা বোধোদয়ের মাধ্যমে ইসলামে আকৃষ্ট হয়। এভাবেই ইসলামের অসংখ্য রূপ৷ শহুরে পশ ছেলেটা হয়তো আচমকা তেঁতুল তত্ত্ব শুনলে হোয়াদ্দাহেল বলে আঁতকে উঠবে। গ্রাম্য লোকটা এসি মসজিদে ঢুকলে শীতে আধমরা হয়ে যাবে। নরম-কোমল মেয়েটা দাস-দাসীর বিধানটা প্রথম প্রথম নিতে পারবে না৷ জেনারেলটা ব্যক্তিগত শত্রুকে ক্ষমা করার আদেশ হজম করতে অনেক সময় নেবে। কিন্তু সবক্ষেত্রে ইসলামের মৌলিকতাটা ঠিক থাকতে হবে। বিদেশি শাইখ যদি চোস্ত ভাষায় শিরক করতে শেখান, সেটা ইসলাম হবে না। গ্রাম্য হুজুর যদি সুর করে বিদআত করতে শেখান, সেটা ইসলাম হবে না। শরিয়াহকে অপরিহার্য মনে করে না, এমন সেকুলাঙ্গার শাসকের জন্য এসি মসজিদে জুমার দিনে জায়গা রিজার্ভ রাখলে সেটা ইসলাম হবে না। গ্রামের মসজিদের মাঝখানে পীর-আউলিয়ার উঁচু কবর থাকলে সেটা ইসলাম হবে না৷ হিজাব পরেও কেউ সফল ব্যাংকার বা বারগার্ল হলে সেটা ইসলাম হবে না। তাই শুরুর কথাটাকে একটু এডিটিং করা যাক, ভাই। ইসলামের প্রকাশ অনেকরকম। কিন্তু ইসলাম একটাই। কোনটা ইসলামের প্রকাশভঙ্গির ভিন্নতা, আর কোনটা পুরোদমে ইসলামবিচ্যুতি - সে ব্যাপারে আল্লাহ আমাদের যথাযথ বুঝ দান করুন। ©Hujur Hoye

আমরা সারাদিন গল্প করতে পারি। মসজিদ থেকে বেরিয়ে গল্প করে সময় নষ্ট করতে পারি, কিন্তু নামাযের মধ্য তাড়াহুড়ি করি ও অস্থির হয়ে পড়ি। এ তাড়াহুড়ো নামাযকে প্রাণহীন করে দেয়। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) বই: রাহে বেলায়াত পৃষ্ঠা: ৩৪১

সন্তানকে খেলনা না দিলে এক ঘন্টা কাঁদবে। জ্ঞান না দিলে সারা জীবন কাঁদবে। ধর্মীয় শিক্ষা না দিলে কিয়ামতের দিনেও কাঁদবে। সংগৃহীত

দুনিয়ায় তোমার জীবনটাই বা কতটুকু? অর্ধেকটা যায় ঘুমে আর বাকিটা গাফিলতিতে! -সংগৃহীত

তারা যা অর্জন করেছে, তাদের জন্য তারই অংশ রয়েছে😭😭

ফেসবুক পোস্ট: https://www.facebook.com/share/p/GmRVUzMboDBvFKEm/?mibextid=oFDknk আগের পর্ব

কেমন ছিলো প্রিয় রাসুল ﷺ এর শেষ দিনগুলো? ◽২৯সফর, সোমবার একটি জানাযা থেকে ফেরার পথে মাথা ব্যাথা শুরু হয়। এই অসুস্থতা ছিলো ওফাতকালীন রোগের সূচনা। প্রায় ১৩/১৪ দিন অসুস্থ ছিলেন। ◽ ওফাতের পাঁচদিন পূর্বে রোগ যন্ত্রণা আরো বেড়ে যায়। এটি ছিলো সফর মাসের শেষ বুধবার। বারবার অজ্ঞান হতে থাকেন। শরীরে প্রচুর পরিমাণ পানি ঢালার পর কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে মাথায় পট্টি বাধা অবস্থায় মিম্বরে আসেন। ছোট একটি বক্তৃতা দেন। যার একটি অংশ ছিলো اللَّهُمَّ لاَ تَجْعَل قَبْرِي وَثَناً يُعْبَدُ তোমরা আমার কবরকে মূর্তি বানিওনা, যে তার উপসনা করা হবে। (মুয়াত্তা মালিক) ◽ওফাতের চারদিন আগে যন্ত্রণা আরও তীব্র হলো। বললেন, কাগজ কলম দাও। কিছু লিখে দেই। কিন্তু কষ্ট হবে বিধায় কাগজ কলম দেয়া হয়নি। তিনি বলতে লাগলেন: الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ নামাজ নামাজ, আর তোমাদের অধিনস্থদের প্রতি মনযোগী হও। (সহিহ বুখারী) ◽ওফাতের তিনদিন আগে। যেন আর দাড়াতেই পারছেন না। মাত্রাতিরিক্ত ব্যাথা, যন্ত্রণা। ◽ওফাতের দুইদিন আগে। সকল দাস মুক্ত করে দেন। সাতটি স্বর্ণমুদ্রা ছিলো। তা দান করে দেন। ◽জীবনের শেষ দিন। ফজরের ওয়াক্তে আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহুর ইমামতিতে নামাজ চলছিলো। পর্দা সরিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখানো হলো। তিনি মুচকি হাসি দিলেন। ◽অন্তিম মুহুর্ত। আয়েশা রা. নিজ দাত দিয়ে চিবিয়ে মিসওয়াক নরম করে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিসওয়াক করালেন। দুইহাত পানিতে ডুবিয়ে রাসুল ﷺ এর মুখ মুছতে থাকলেন। আর বলতে লাগলেন: ইলাহা ইল্লাল্লাহ, নিশ্চয় মৃত্যুর জন্য রয়েছে সাকারাত (যন্ত্রণা)। আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন। রহম করুন। রফিকে আ'লার কাছে পৌঁছে দিন। হে আল্লাহ! হে রফিকে আ'লা। পরম বন্ধু। এসব বলতে বলতে আম্মাজান আয়েশা রা. এর বিছানায়, তার বুকেই মাথা রেখে ইন্তেকাল করেন। ◽আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা মুহাম্মাদ। তথ্যসূত্র : সহিহ বুখারী। মুয়াত্তা মালিক। আর রাহীকুল মাখতুম।সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া। © Abdullah Al Monsur হাফিঃ

সেকুদের সাথে মুসলমানরাও চিঠি দিবস পালন করছে, আফসোস!!! অথচ ইসলামে এভাবে দিবস পালনের কোন নিয়ম নেই। আসলে সেকুরা আমাদের মাইন্ডে শয়*তানি কাজকর্ম এমনভাবে ঢুকিয়ে দেয় যে,আপাত দৃষ্টিতে বুঝাই যায় না যে এগুলো করা ঠিক না। অন্য কোন দিনেও তো চিঠি দেওয়া যেত,আজই কেন???? এখন কিছু মানুষ বলবে সবকিছুতে ধর্ম খুঁজতে নেই। কিন্তু আমি মুসলিম। তাই সবকিছুতে ইসলামকে টেনে আনি। @haqqdeenislam65